ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’র ভিপি প্রার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ অভিনন্দন জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বিজয়ীদেরকে অভিনন্দন। আল্লাহ তা'আলা আপনাদের ইনসাফের সঙ্গে কাজ করার তাওফীক দান করুন। আমার চারটা অসমাপ্ত কাজ ছিল, সেগুলোর দায়িত্ব আপনাদের ওপর অর্পণ করে গেলাম।
১. হিজাবোফোবিয়ার ওপর করা আমাদের তিন বছরের পরিশ্রম ডকুমেন্টগুলো চেষ্টা করেও কোনো কাজে লাগাতে পারিনি। এটা একটা ঐতিহাসিক দলিলপত্র, আপনারা এটাকে যেভাবেই হোক সর্বোচ্চ কাজে লাগাবেন ইনশাআল্লাহ্।
২. গর্ভধারণকালে এটেন্ডেন্সের হার কমানো, মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ডে-কেয়ারের ব্যাপারে করা আমাদের দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গঠিত কমিটির সঙ্গে একাধিক সভার মাধ্যমে প্রস্তাবনা আকারে চূড়ান্ত হলেও সিন্ডিকেটে এখনো অনুমোদিত হয়নি। হাজারো নারী শিক্ষার্থী অপেক্ষায় আছে। এটা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন।
৩. রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের ডিজিটালাইজেনশনে বৃত্ত অ্যাপ। অনুমোদন হয়ে গেছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত করা হচ্ছে না। জুলকারনাইন ভাই অনেক আশায় ছিলেন আমি বের হয়ে এলে কাজটা হয়ে যাবে। আপনারা উনাকে হেল্প করবেন প্লিজ। প্রয়োজনে উনার সঙ্গে সমন্বয় করে আরও বেটার কিছু করবেন।
৪. মৈত্রী ও বঙ্গমাতা হলের জন্য বরাদ্দ করা বাসটা যেন দ্রুত রিসিভ করা হয় এবং অবশ্যই অবশ্যই এ রুটের জন্যই রাখা হয়।
আমার ওপর যারা বিশ্বাস রেখেছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। যারা ভবিষ্যতের প্রত্যাশা করেছিলেন, তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এক্টিভিজমের ময়দা থেকে দীর্ঘ একটা ছুটি নেওয়ার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। এ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই আবেগবশত নেওয়া হয়নি। কাছের লোকজনকে আগে থেকে বলে আসছিলাম। আমার নিজেকে ও পরিবারকে সময় দিতে হবে। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ কিছু বিশ্বাসঘাতকতা দ্বারা আমি পুরোপুরি বিধ্বস্ত, যেগুলো কাউকে বলতেও পারবো না, বোঝাতেও পারবো না। আমার জন্য দোয়া করবেন।
এমএএইচ/জিকেএস