বিটিআরসিতে ৯ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি, তদন্ত প্রতিবেদন ২০ এপ্রিল

আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের টার্মিনেশন রেট ও রেভিনিউ শেয়ার বেআইনিভাবে কমিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে দুদকের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মামলার এজাহার গ্রহণ করে এই তারিখ ঠিক করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গত ৩ ডিসেম্বর মামলাটি করেন সংস্থার পরিচালক জালাল উদ্দীন আহমেদ। অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে সরকারের অনুমোদন ছাড়াই পরীক্ষামূলক সময়ের টার্মিনেশন রেট ০.০৩ ডলার থেকে ০.০১৫ ডলারে কমিয়ে আনে এবং সরকারের রেভিনিউ শেয়ার ৫১.৭৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নামিয়ে দেয়। একই সময় আইজিডব্লিউ অপারেটরদের শেয়ার ১৩.২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করা হয়, যা দুদকের মতে সম্পূর্ণ বেআইনি সিদ্ধান্ত। মামলায় দাবি করা হয়, এ সিদ্ধান্তে রেভিনিউ শেয়ার কমে যায় এবং সরকারের ক্ষতি হয় ৩৮৩ কোটি ৭৩ লাখ

বিটিআরসিতে ৯ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি, তদন্ত প্রতিবেদন ২০ এপ্রিল

আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের টার্মিনেশন রেট ও রেভিনিউ শেয়ার বেআইনিভাবে কমিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় নয় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগে দুদকের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মামলার এজাহার গ্রহণ করে এই তারিখ ঠিক করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গত ৩ ডিসেম্বর মামলাটি করেন সংস্থার পরিচালক জালাল উদ্দীন আহমেদ।

অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে সরকারের অনুমোদন ছাড়াই পরীক্ষামূলক সময়ের টার্মিনেশন রেট ০.০৩ ডলার থেকে ০.০১৫ ডলারে কমিয়ে আনে এবং সরকারের রেভিনিউ শেয়ার ৫১.৭৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নামিয়ে দেয়। একই সময় আইজিডব্লিউ অপারেটরদের শেয়ার ১৩.২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করা হয়, যা দুদকের মতে সম্পূর্ণ বেআইনি সিদ্ধান্ত।

মামলায় দাবি করা হয়, এ সিদ্ধান্তে রেভিনিউ শেয়ার কমে যায় এবং সরকারের ক্ষতি হয় ৩৮৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বেশি। কম রেটে কল আনায় ক্ষতি দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার ৯৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা দেশে না ফেরায় ক্ষতি হয় আরও ৫ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকার বেশি। সব মিলিয়ে সরকারের মোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ হাজার ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

মামলার আসামিরা হলেন দুদকের সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক, বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, আরেক সাবেক চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, সাবেক কমিশনার মো. রেজাউল কাদের ও মো. আমিনুল হাসান। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে।

এমডিএএ/একিউএফ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow