বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ও বাধ্যতামূলক মানদণ্ড অনুমোদন করেছে দেশটির সরকার। সোমবার (১ জুন) এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। আমিরাতি শিক্ষার্থীদের পেশাগত প্রস্তুতি বাড়ানো ও বিদেশে শিক্ষাবৃত্তির সুযোগকে জাতীয় লক্ষ্য অনুযায়ী পরিচালিত করার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমিরাতি শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন, তা নির্ধারিত হবে আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে, যা আমিরাতের শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে।
নির্ধারিত মানদণ্ডগুলো হলো:
> যেকোনো দেশে পড়াশোনা করতে হলে নির্বাচিত বিষয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের সেরা ৫০টির মধ্যে থাকতে হবে।
> যদি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্র বা অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে চায়, তাহলে:
* সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের সেরা ১০০টির মধ্যে থাকতে হবে।
* সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে সার্বিকভাবে বিশ্বের সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থাকতে হবে।
> যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া বাদে অন্য ইংরেজিভাষী দেশে পড়তে চাইলে:
* বিশ্ববিদ্যালয়কে পছন্দের বিষয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বের সেরা ২০০টির মধ্যে থাকতে হবে।
* পাশাপাশি সার্বিক র্যাংকিংয়েও সেরা ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে থাকতে হবে।
> যদি শিক্ষার্থী কোন ইংরেজিভাষী নয় এমন দেশে পড়াশোনা করতে চায়, তাহলে:
* পছন্দের বিষয়ের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের সেরা ৩০০টির মধ্যে থাকতে হবে।
* সার্বিকভাবেও সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে সেরা ৩০০-র মধ্যে থাকতে হবে।
সরকারের মতে, এই নিয়ম শিক্ষার্থীদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে এবং নিশ্চিত করবে যে তারা উচ্চমানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রাম বেছে নিচ্ছে।
তবে যেসব আমিরাতি শিক্ষার্থী এরই মধ্যে বিদেশে পড়ছেন, তাদের জন্য এক বছর সময় দেওয়া হবে একাডেমিক স্ট্যাটাস সামঞ্জস্য করার। কেউ যদি এই নিয়ম থেকে ছাড় চায়, তবে সেই অনুরোধ পর্যালোচনা করবে একটি বিশেষ কমিটি, যার নেতৃত্বে থাকবে শিক্ষা, মানব উন্নয়ন ও সমাজ উন্নয়ন কাউন্সিলের সাধারণ সচিবালয়।
সূত্র: খালিজ টাইমস
কেএএ/