বিদ্যুতের বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনার নির্দেশনা চেয়ে রিট

4 months ago 51

প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু সত্ত্বেও গ্রাহকদের অতিরিক্ত ও গোপন চার্জ দেওয়ার অভিযোগ এনে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা এবং নীতি সংস্কার করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগ্যান ও জাকির হায়দারের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হাদী।

রিটে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুতের বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কার করার দাবি জানানো হয়েছে। এতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, ডেসকো, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ও ডিপিডিসির কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়।

এর আগে গত ২১ মে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার সত্ত্বেও গ্রাহকদের অতিরিক্ত ও গোপন চার্জ দেওয়ার অভিযোগ এনে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনার দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে ২৬ মে’র মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এর ব্যত্যয় হলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

আইনজীবী বলেন, প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু সত্ত্বেও ভোক্তারা অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ এবং স্বচ্ছতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। সমস্যাগুলো ব্যাপক অসন্তোষ ও আর্থিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিলিং প্র্যাকটিস পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা, স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জের রিফান্ড, জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নীতি সংস্কারের দাবিতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে এর আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা রয়েছে। কিন্তু এর সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ভোক্তারা অতিরিক্ত চার্জ, গোপন চার্জ এবং স্বচ্ছতার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ সমস্যাগুলো ব্যাপক অসন্তোষ ও আর্থিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

এফএইচ/এমএএইচ/জেআইএম

Read Entire Article