আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে সিরিয়া। বিশ্বের সব পরাশক্তির এই যুদ্ধক্ষেত্র নতুন করে বিস্ফোরিত হওয়ার পেছনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে দাবি ইরান ও রাশিয়ার। তুরস্কও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি সিরিয়ার আলেপ্পো ও ইদলিব শহরে বিদ্রোহী আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার আলেপ্পো শহর দখল করে নিয়েছে হায়াত তাহরির আল-শাম নামে বিদ্রোহী গ্রুপ। এরপর ওই বিদ্রোহীরা শহরে থাকা সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের রাজপ্রাসাদে রোববার ঢুকে পড়ে।
রাজপ্রাসাদ ছাড়াও নিকটবর্তী আলেপ্পো সামরিক একাডেমিরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এ সময় বিদ্রোহীরা রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও নিজেদের কবজায় নেওয়ার দাবি করে। জেরুজালেম পোস্ট বলছে, প্রায় পুরো আলেপ্পোই এখন বিদ্রোহীদের দখলে। তবে শহরের উত্তরে কিছু কুর্দিশ এলাকা এখনও সরকারপন্থি বাহিনীর হাতে আছে।
দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে কাবু সিরিয়ায় ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের সহায়তায় নিজের অবস্থান সুসংহত করেছিলেন বাশার আসাদ। তবে তখনও আলেপ্পো আসাদ সরকারের হাতছাড়া হয়নি। বরং যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাল আসাদের বাহিনী।
ইরানের কাছে সিরিয়ার কৌশলগত গুরুত্ব অনেক। আর তাই বন্ধুরাষ্ট্রের সহায়তা এগিয়ে আসার কথা জানিয়েছে তেহরান। এমনকি রোববার সিরিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তবে দেশত্যাগের আগে তিনি বলেন, সিরিয়ার সরকার আবারও বিজয়ী হবে।
২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে শুরুতে কোণঠাসা ছিলেন বাশার আল-আসাদ। তবে রাশিয়া ও ইরানের জোরালো সমর্থনে নিজের পায়ের নিচে মাটি শক্ত করেন তিনি। যদিও সিরিয়ার পুরো নিয়ন্ত্রণ তার হাতে নেই। দেশটির ৭০ শতাংশ বাশার আল-আসাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকি অংশের নিয়ন্ত্রণ করে জাতিগত বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপ।