বিধ্বস্ত বিমান থেকে যে দুজন বেঁচে গেলেন

2 days ago 10

দক্ষিণ কোরিয়ার জিওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় দমকল বাহিনীর ধারণা, উড়োজাহাজটিতে এ দুজন ছাড়া ১৭৯ জনের কেউ-ই আর বেঁচে নেই। দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বাহিনীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ। 

বার্তা সংস্থাটির জানিয়েছে, জীবিত দুজনের মধ্যে একজন যাত্রী এবং অন্য এক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট। তবে ওই যাত্রী এবং ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, উড়োজাহাজটিতে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার এবং দুজন থাই নাগরিক ছিলেন। 

থাইল্যান্ড থেকে ফেরার সময় সকাল ৯টার দিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জেজু এয়ারের ২২১৬ ফ্লাইটটি। ল্যান্ডিং গিয়ারে পাখি ঢুকে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিনির্বাপণ সংস্থার প্রধান লি জিয়ং-হিউন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে বলেন, দমকল বাহিনীর ধারণা পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হচ্ছে। 

এদিকে বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটির রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে বিমানটিকে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে যেতে এবং একটি দেওয়ালে গিয়ে বিস্ফোরিত হতে দেখা যায়। বিধ্বস্তের পর বিমানের পেছনের অংশ অক্ষত দেখালেও এর বাকি অংশ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

থাইল্যান্ড থেকে উড়ে আসা বিমানটি সকাল ৮টা ৩০ মিটিটে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। পাইলট বিমানের ক্রটি বুঝতে পেরে প্রথমবার অবতরণের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হন। পাইলট আকাশের ওপরে উঠে আরেকটি গো-অ্যারাউন্ড করে। কর্তৃপক্ষের মতে, দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি দেখা দেয়।

এদিকে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মু ‘উদ্ধার অভিযানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার’ নির্দেশ দিয়েছেন।

Read Entire Article