বিনিয়োগের পথে কাঁটা: উদ্যোক্তারা মুখ ফেরাচ্ছেন কেন?

যখন কোনো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব বা সুপরিচিত নোবেল লরিয়েট ব্যক্তি দেশের রাজনীতি কিংবা অর্থনৈতিক সংস্কারের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন, অথবা কোনো পরিচ্ছন্ন ইমেজের তরুণ নেতা আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যমে \'স্মার্ট প্রেজেন্টেশন\' এবং \'স্বপ্নের কথা\' বলে তারুণ্যকে এগিয়ে নেওয়ার শপথ নেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই দেশবাসীর মনে এক বিশাল প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক মহলেও এই ব্র্যান্ডিং-কে কেন্দ্র করে এক ধরনের ইতিবাচক \'পিআর ভ্যালু\' তৈরি হয়, যেখানে মনে করা হয়, এই ধরনের নেতৃত্ব হয়তো দ্রুতই দেশের প্রশাসনিক জটিলতা দূর করে একটি \'নতুন উন্নত দেশ\' গড়ার অঙ্গীকার পূরণ করবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসিত এই ধরনের ভাবমূর্তি, স্বপ্ন এবং উচ্চাভিলাষী প্রতিশ্রুতির কি বাস্তবিকই কোনো বাজারমূল্য আছে? বিশেষ করে, যখন আমরা বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণের মতো বিশেষ অর্থনৈতিক সূচকের দিকে তাকাই, তখন এই চমকপ্রদ ব্র্যান্ডিংয়ের কার্যকারিতা নিয়ে বড়সড় সন্দেহ জাগে। কারণ, অর্থনীতির কঠোর বাস্তবতা আবেগ বা প্রতিশ্রুতির তোয়াক্কা করে না। গত ১৫ মাসের পরিসংখ্যান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, আকর্ষণী

বিনিয়োগের পথে কাঁটা: উদ্যোক্তারা মুখ ফেরাচ্ছেন কেন?

যখন কোনো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব বা সুপরিচিত নোবেল লরিয়েট ব্যক্তি দেশের রাজনীতি কিংবা অর্থনৈতিক সংস্কারের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন, অথবা কোনো পরিচ্ছন্ন ইমেজের তরুণ নেতা আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'স্মার্ট প্রেজেন্টেশন' এবং 'স্বপ্নের কথা' বলে তারুণ্যকে এগিয়ে নেওয়ার শপথ নেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই দেশবাসীর মনে এক বিশাল প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়। আন্তর্জাতিক মহলেও এই ব্র্যান্ডিং-কে কেন্দ্র করে এক ধরনের ইতিবাচক 'পিআর ভ্যালু' তৈরি হয়, যেখানে মনে করা হয়, এই ধরনের নেতৃত্ব হয়তো দ্রুতই দেশের প্রশাসনিক জটিলতা দূর করে একটি 'নতুন উন্নত দেশ' গড়ার অঙ্গীকার পূরণ করবে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসিত এই ধরনের ভাবমূর্তি, স্বপ্ন এবং উচ্চাভিলাষী প্রতিশ্রুতির কি বাস্তবিকই কোনো বাজারমূল্য আছে? বিশেষ করে, যখন আমরা বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণের মতো বিশেষ অর্থনৈতিক সূচকের দিকে তাকাই, তখন এই চমকপ্রদ ব্র্যান্ডিংয়ের কার্যকারিতা নিয়ে বড়সড় সন্দেহ জাগে।

কারণ, অর্থনীতির কঠোর বাস্তবতা আবেগ বা প্রতিশ্রুতির তোয়াক্কা করে না। গত ১৫ মাসের পরিসংখ্যান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, আকর্ষণীয় রাজনৈতিক ব্র্যান্ডিং এবং আন্তর্জাতিক লবিং সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। যদি কোনো নোবেল লরিয়েট ব্যক্তির উপদেষ্টা হওয়া কিংবা তারুণ্যের স্বপ্ন দেখানোর মতো বিষয়গুলোর সত্যিই অর্থনৈতিক কার্যকারিতা থাকত, তবে কেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নেতারা এবং আধুনিক উপস্থাপনার মোহে আকৃষ্ট না হয়ে বিনিয়োগকারীরা উল্টো নিজেদের অর্থ সরিয়ে নিচ্ছেন? কেন তারা স্থিতিশীল নীতি, স্বচ্ছতা এবং মুনাফা পাঠানোর সহজ সুযোগের মতো বাস্তব চাহিদাগুলোর অভাবকে উপেক্ষা করতে পারছেন না?

এই বৈপরীত্যই প্রমাণ করে—বিনিয়োগকারীরা 'স্বপ্ন' কেনেন না, তারা কেনেন 'নিরাপত্তা' ও 'সচ্ছলতা'। এই ব্যর্থতা দেখিয়ে দেয় যে, দেশের অর্থনীতিতে এমন কিছু মৌলিক সমস্যা রয়ে গেছে যা কোনো ব্যক্তিগত ক্যারিশমা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি বা চটকদার স্লোগান দিয়ে ঢাকা সম্ভব নয়। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সরকারের তৎপরতা যেন এখন সফরকেন্দ্রিক এক প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে। কখনো যুক্তরাজ্য, কখনো যুক্তরাষ্ট্র, আবার কখনো চীন—এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাতায়াত, সভা, সেমিনার, রোড শো, প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসে মুখর। কিন্তু ফলাফল? বাস্তবতা বলছে—এই বহুল প্রচারিত সফর ও প্রচারণার পরও বিনিয়োগ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাজ্য থেকে নিট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমেছে প্রায় ৪১ শতাংশ। অথচ বছরটির শুরুতেই সেখানে গিয়েছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান, আয়োজন করেছিলেন একাধিক বিনিয়োগ বৈঠক ও সেমিনার। একই সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকেও বিনিয়োগ এসেছে কম, বরং দেশের বাইরে চলে গেছে তার চেয়ে বেশি অর্থ। বিনিয়োগকারীরা লাভ তুলেছেন, কিন্তু নতুন অর্থ ঢালছেন না।

চীনের ক্ষেত্রেও একই ছবি। বিনিয়োগের বড় উৎস হওয়া সত্ত্বেও গত অর্থবছরে চীনের নিট এফডিআই প্রবাহ কমেছে। অথচ দেশটির বেইজিং ও সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারগুলোতে বিপুল প্রতিশ্রুতি এসেছিল—যার বাস্তবায়ন শূন্যের কোঠায়। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, যে-সব দেশে সরকারি প্রতিনিধি দল সফর করেছে, সেসব দেশ থেকেই বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের পরিসংখ্যান প্রথমে আশাব্যঞ্জক মনে হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। দেশটি থেকে বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৮০০ শতাংশ, কিন্তু এর পেছনে ছিল পুরোনো এক ব্যবসা অধিগ্রহণের অর্থপ্রবাহ—আকিজ গ্রুপের টোব্যাকো ব্যবসা বিক্রির লেনদেন। সরকারের কোনো সফর, প্রচারণা বা নতুন চুক্তির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ এই ‘বিনিয়োগ’ আসলে কাগজে কলমের হিসাব—অর্থনীতির বাস্তব চিত্র নয়।

সত্যিকার অর্থে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হলে প্রথম শর্ত হচ্ছে দেশের ভেতর রাজনৈতিক বৈধতা ও পূর্বানুমানযোগ্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। এর সঙ্গে প্রয়োজন দক্ষ প্রশাসন, স্বচ্ছ নীতি, এবং বিনিয়োগবান্ধব আইনি পরিবেশ। আজ কঠিন সত্য স্বীকারের সময় এসেছে, বিনিয়োগ বৃদ্ধির চাবিকাঠি মঞ্চের বক্তব্যে নয়, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীরে থাকা নীতিগত সংস্কারে। রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত, জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সেই সংস্কারও টেকসই হবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার জাতীয় সাহসের ওপর।

সরকার অবশ্য এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধির পরিসংখ্যানকে সাফল্য হিসেবে প্রচার করছে। কিন্তু তথ্য বিশ্লেষণ বলছে, এই ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে পুরোনো বিনিয়োগকারীদের পুনর্বিনিয়োগ ও আন্তঃপ্রতিষ্ঠান ঋণ থেকে। সহজভাবে বললে, নতুন বিনিয়োগ আসেনি; বরং আগের প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য নিজস্ব অর্থ পুনরায় ব্যবহার করছে। নতুন বিনিয়োগকারীরা আসতে চাইছেন না, আর পুরোনোরা মুনাফা পাঠাতে পারছেন না—এমন এক সংকটে প্রবৃদ্ধির ভেতরেও লুকিয়ে আছে অস্বস্তিকর বাস্তবতা।

এফডিআইয়ের মূল প্রাণ হলো নতুন মূলধন—যাকে বলা হয় ইকুইটি ক্যাপিটাল। কিন্তু এই খাতে বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ। এর অর্থ, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বাংলাদেশে মূলধন ঢালতে অনাগ্রহী। তারা হয়তো আস্থা হারাচ্ছে, কিংবা ভবিষ্যৎ ঝুঁকি এড়িয়ে চলছে।

এমন পরিস্থিতিতে সরকারি সফরগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে। কেবল বিদেশে গিয়ে রোড শো করা বা বিনিয়োগ সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়া বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর উপায় নয়। কারণ বিনিয়োগ আসে আস্থা থেকে, আর আস্থা আসে নীতি, স্থিতিশীলতা ও বাস্তব সুবিধা থেকে। বিনিয়োগকারীরা চটকদার প্রচারণা নয়, নিরাপদ ও স্বচ্ছ পরিবেশ খোঁজেন—যেখানে প্রশাসনিক জটিলতা কম, মুদ্রা স্থিতিশীল, লভ্যাংশ পাঠানো সহজ এবং নীতিনির্ধারণে হঠাৎ পরিবর্তনের ভয় নেই।

বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ এখনো কঠিন ও জটিল। অনুমোদন পেতে মাসের পর মাস সময় লাগে, ‘ওয়ান-স্টপ সার্ভিস’ নামের ধারণাটি এখনো কাগজে সীমাবদ্ধ, জ্বালানি ও গ্যাস সংযোগে অনিশ্চয়তা, কর প্রশাসনের জটিলতা এবং মুনাফা পাঠানোর সীমাবদ্ধতা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নিয়ম-নীতি প্রয়োগে বৈষম্য—যা বিনিয়োগের মনস্তত্ত্বে বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

অন্যদিকে, সরকারি কর্মকর্তাদের সফরকেন্দ্রিক প্রচারণা অনেক সময় বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিফলিত হয় পিআর কার্যক্রম হিসেবে—যার বাস্তব ফল নেই। বিনিয়োগকারীরা এখন কূটনৈতিক ভাষায় দেওয়া প্রতিশ্রুতির চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন প্রমাণিত নীতির ধারাবাহিকতায়। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ধারাবাহিকতা নেই। এক সরকার বা এক প্রশাসনিক পরিবর্তনে নীতি বদলে যায়, অনুমোদন আটকে যায়, নতুন শর্ত আরোপ হয়।

এ কারণেই দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, কোরিয়া বা তুরস্ক—সব দেশেই সফর হয়েছে, কিন্তু বিনিয়োগ কমেছে। তুরস্ক থেকে বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৭৫ শতাংশ, কোরিয়া থেকে ১২ শতাংশের বেশি। কাতার সফরেও কোনো ফল মেলেনি। সফর শেষে কেবল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আর ছবি, কিন্তু বিনিয়োগের অঙ্কে তা প্রতিফলিত হয়নি।

অন্যদিকে, মালয়েশিয়া ও জাপানের মতো দেশ থেকে বিনিয়োগ বেড়েছে কিছুটা। এর কারণও পরিষ্কার—এসব দেশে নির্দিষ্ট খাতভিত্তিক অংশীদারত্ব রয়েছে, বিশেষ করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও অবকাঠামো প্রকল্পে। অর্থাৎ যেখানে লক্ষ্য স্পষ্ট ও প্রক্রিয়া সুসংহত, সেখানেই ফল পাওয়া গেছে।

এই চিত্র প্রমাণ করে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে দরকার বাস্তব সংস্কার, সফর নয়। নীতি স্থিতিশীল করতে হবে, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে, এবং সবচেয়ে বড় কথা—বিনিয়োগকারীদের লাভ নিশ্চিতভাবে দেশে পাঠানোর সুযোগ দিতে হবে। বিনিয়োগকারীরা জানতে চান, তাঁদের টাকায় বাধা থাকবে না, নিয়ম এক থাকবে, সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম পরিবর্তন হবে না।

আসলে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া বিনিয়োগ আকর্ষণের আপাতত আর কোনো বিকল্প নেই। সম্প্রতি খোদ অর্থ উপদেষ্টা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত সরকার ছাড়া টেকসই বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব নয়। কাজেই বিষয়টি আর বিতর্কের জায়গায় নেই; এটি এখন জাতীয় অগ্রাধিকারের প্রশ্ন। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো আসলে একটি দেশের অর্থনৈতিক শাসনব্যবস্থা ও নীতিগত স্থিরতার প্রতি আস্থার প্রতিফলন। বিনিয়োগকারীরা খুব দ্রুত বুঝে ফেলেন যে, একটি দেশ সফর-নির্ভর আশ্বাসে চলছে, নাকি বাস্তব নীতি ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে এগোচ্ছে। আস্থাহীনতার মুহূর্তেই তারা মূলধন সরিয়ে নেয় অন্যত্র, কারণ বৈশ্বিক বিনিয়োগ–বাজারে বিশ্বাসই হলো একমাত্র টেকসই চালিকা শক্তি।

সত্যিকার অর্থে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হলে প্রথম শর্ত হচ্ছে দেশের ভেতর রাজনৈতিক বৈধতা ও পূর্বানুমানযোগ্য স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। এর সঙ্গে প্রয়োজন দক্ষ প্রশাসন, স্বচ্ছ নীতি, এবং বিনিয়োগবান্ধব আইনি পরিবেশ। আজ কঠিন সত্য স্বীকারের সময় এসেছে, বিনিয়োগ বৃদ্ধির চাবিকাঠি মঞ্চের বক্তব্যে নয়, রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গভীরে থাকা নীতিগত সংস্কারে। রাজনৈতিকভাবে নির্বাচিত, জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া সেই সংস্কারও টেকসই হবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার জাতীয় সাহসের ওপর।

লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, কলামিস্ট।

এইচআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow