বিপিএলকে বিশ্বকাপের বড় প্রস্তুতি মনে করছেন ফাহিম

বিপিএলের দ্বাদশ আসরের পর্দা উঠবে আগামী শুক্রবার। বিপিএল শেষেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে উড়াল দিবে বাংলাদেশ দল। বিসিবির ক্রিকেট অপরাশেন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে, বিপিএলই মূলত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় মঞ্চ। ফাহিম বলেন, ‘বিপিএলে অংশ নেওয়া প্রায় সব সম্ভাব্য বিশ্বকাপ খেলোয়াড়ই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে থাকবে। বিপিএল শেষ হওয়ার পর হাতে সময় কম থাকলেও পরিকল্পনা সাজানো আছে। টপ ফোরে না যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে আগেভাগেই ছোট পরিসরে অনুশীলন শুরু হবে। কোচিং স্টাফ এসে তাদের সঙ্গে কাজ করবেন। খুব সম্ভবত ২০ তারিখ (ডিসেম্বর) থেকে যারা ফ্রি হয়ে যাবে, যে দলগুলো টপ ফোরে যাবে না সেখানে যেসব খেলোয়াড়রা থাকবে। তাদের ছোট করে আস্তে আস্তে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যাবে। কোচরা চলে আসবে তাদের নিয়ে কাজ করবে। ফাহিম যোগ করেন, ‘যে মুহূর্তে দল খেলা শেষ হয়ে যাবে বিপিএল, তারপরে এইসব খেলোয়াড়দের নিয়ে ছোট্ট করে দু-তিনদিনের জন্য হলেও একটা প্রোগ্রাম হবে এখানে। তারপর খুব সম্ভবত আমাদের চেষ্টা আছে ২৮ ডিসেম্বরের দিকে দল চলে যাবে বেঙ্গালুরুতে। ওখানে একটু ট্রেনিং করবে তারপর বেঙ্গালুরুতে আমাদের দুটো

বিপিএলকে বিশ্বকাপের বড় প্রস্তুতি মনে করছেন ফাহিম

বিপিএলের দ্বাদশ আসরের পর্দা উঠবে আগামী শুক্রবার। বিপিএল শেষেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে উড়াল দিবে বাংলাদেশ দল। বিসিবির ক্রিকেট অপরাশেন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে, বিপিএলই মূলত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় মঞ্চ।

ফাহিম বলেন, ‘বিপিএলে অংশ নেওয়া প্রায় সব সম্ভাব্য বিশ্বকাপ খেলোয়াড়ই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে থাকবে। বিপিএল শেষ হওয়ার পর হাতে সময় কম থাকলেও পরিকল্পনা সাজানো আছে। টপ ফোরে না যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে আগেভাগেই ছোট পরিসরে অনুশীলন শুরু হবে। কোচিং স্টাফ এসে তাদের সঙ্গে কাজ করবেন। খুব সম্ভবত ২০ তারিখ (ডিসেম্বর) থেকে যারা ফ্রি হয়ে যাবে, যে দলগুলো টপ ফোরে যাবে না সেখানে যেসব খেলোয়াড়রা থাকবে। তাদের ছোট করে আস্তে আস্তে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যাবে। কোচরা চলে আসবে তাদের নিয়ে কাজ করবে।

ফাহিম যোগ করেন, ‘যে মুহূর্তে দল খেলা শেষ হয়ে যাবে বিপিএল, তারপরে এইসব খেলোয়াড়দের নিয়ে ছোট্ট করে দু-তিনদিনের জন্য হলেও একটা প্রোগ্রাম হবে এখানে। তারপর খুব সম্ভবত আমাদের চেষ্টা আছে ২৮ ডিসেম্বরের দিকে দল চলে যাবে বেঙ্গালুরুতে। ওখানে একটু ট্রেনিং করবে তারপর বেঙ্গালুরুতে আমাদের দুটো প্র্যাকটিস ম্যাচ আছে বিশ্বকাপের নির্ধারিত। সেই প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলে তারপর আমরা কলকাতায় আসবো আমাদের ওয়ার্ল্ডকাপের ম্যাচ খেলতে।’

বাংলাদেশ দলে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতার অভাব সবসময়ই চিন্তার কারণ। ফাহিমও স্বীকার করেন, ব্যাটিং ধারাবাহিকতাই এখন দলের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, ‘সাইফ হাসান দলে আসার পর টপ অর্ডারে ধারাবাহিকতা কিছুটা বেড়েছে। ইমন (পারভেজ) ও তামিমকে (তানজিদ) নিয়েও কোচরা আলাদা করে কাজ করেছেন। যদিও ব্যক্তিগতভাবে সবাই ভালো খেলতে পারেন, তবে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখানোই এখন মূল লক্ষ্য।’

বিপিএল শেষে বিশ্বকাপ খুব কাছাকাছি থাকায় খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ বিষয়ে ফাহিম জানান, ‘আমরা নিয়মিত মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখবো আমাদের প্লেয়ারদের, যারা সম্ভাব্য খেলোয়াড় আছে বিশ্বকাপে খেলবে। তাদের দিকে আমাদের নজর থাকবে। আমাদের ফিজিও বা ট্রেইনার যারা আছেন... আমাদের অ্যানালিস্ট এদের কন্টিনিউয়াস সাপোর্ট থাকবে ওদের জন্য। আমার মনে হয় যে এরকম কোনো কেস হলে আমরা দলের সাথে যোগাযোগ করবো, দলের সাথে আলোচনা করবো কারণ আলটিমেটলি বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করাটা খুব জরুরি। সেক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের বেস্ট ফর্মে থাকা হেলথওয়াইজ পারফরম্যান্স খুব জরুরি। আমি বিশ্বাস করি দলগুলো আমাদেরকে সেভাবে সাপোর্ট দেবে।’

এসকেডি/এমএমআর

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow