ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেশিরভাগ ব্যবসায়ী তাদের পণ্যের ক্ষতির জন্য বিমা দাবির টাকা পাবেন না। দুই ধরনের বিমা পলিসির একটি পণ্য পরিবহনে সব ধরনের ক্ষতি কাভার করে, আরেকটি শুধু উড়োজাহাজে থাকা অবস্থায় ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ দেয়। অধিকাংশ ব্যবসায়ী নিয়েছেন শুধু উড়োজাহাজের বিমা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দেশে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিমা কোম্পানিগুলো দুই ধরনের পলিসি ইস্যু করে। এর মধ্যে একটি হলো- ‘এয়ার অল রিস্ক পলিসি’, যেটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এই বিমা পলিসির আওতায় বিমা কাভারেজ দেওয়া হয় ওয়্যার হাউজ টু ওয়্যার হাউজ। আর একটি পলিসি হলো- ‘এয়ার রিস্ক অনলি’। এই পলিসির আওতায় পণ্য শুধু উড়োজাহাজে থাকা অবস্থায় বিমা কাভারেজ পাবে।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যারা এয়ার অল রিস্ক পলিসি নিয়েছেন, তরা বিমা দাবি পাবেন। আর যারা এয়ার রিস্ক অনলি পলিসি নিয়েছেন তারা ক্ষতিপূরণ পাবেন না। এমনকি এ ধরনের বিমা পলিসির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্বখ্যাত বিমা ও পুনঃবিমা বাজার লয়েড’স এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এ ধরনের কোনো পলিসি অনুমোদন করেনি।
তবে সাধারণ বিমা করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) নির্দেশনা মেনেই এ ধরনের বিমা পলিসি করা হচ্ছে এবং এ ধরনের বিমা পলিসি বৈধ। আন্তর্জাতিকভাবে এ ধরনের পলিসির গ্রহণযোগ্যতা আছে। যে কারণে এ ধরনের পলিসি ইস্যু করা হচ্ছে এবং কেউ আপত্তি করেনি।
বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিমা কোম্পানিগুলোতে আবেদন করা ১০০টির বেশি বিমা পলিসির তথ্য জাগো নিউজের কাছে এসেছে। এর বেশিরভাগ ‘অনলি এয়ার রিস্ক’ পলিসি নেওয়া। ফলে এসব ব্যবসায়ী বিমা কোম্পানিগুলো থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন না।
তাইওয়ান থেকে আমরা মালামাল আমদানি করি। বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে আমাদের সব মালামাল পুড়ে গেছে। বিমা দাবির জন্য বিমা কোম্পানিতে আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনো বিমা দাবির টাকা পাইনি।- টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার
গত ১৮ অক্টোবর দুপুরে শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। দীর্ঘ চেষ্টায় রাত ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর শুরু হয় প্লেন চলাচল। তবে পুরোপুরি নেভাতে লেগে যায় ২৭ ঘণ্টা। এই অগ্নিকাণ্ডে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। আর বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির (বিসিএস) হিসাবে সদস্যদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

অবশ্য এ অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত ক্ষতি কী পরিমাণ তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। তবে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন শিগগির প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রম চলমান। সরকার তদন্ত কার্যক্রম শেষে রিপোর্ট প্রকাশ করবে।
আরও পড়ুন
শাহজালালে আগুনে বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির শঙ্কা, উদ্বেগ ব্যবসায়ীদের
অন্তত ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়ে গেছে: ওষুধশিল্প সমিতি
আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে
শাহজালালে আগুনে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি: বিজিএমইএ
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বিমা কোম্পানিগুলোতে বিমা দাবির জন্য আবেদন করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির মুখে পড়া এমন একটি প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাইওয়ান থেকে আমরা মালামাল আমদানি করি। বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে আমাদের সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে। বিমা দাবির জন্য বিমা কোম্পানিতে আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনো বিমা দাবির টাকা পাইনি।’
অনলি এয়ার রিস্ক বিমা পলিসি কেন নিয়েছেন? এ ধরনের পলিসি নেওয়ার কারণে তো আপনারা বিমা দাবির টাকা পাবেন না। এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পণ্য আমদানি করতে বিমা করা লাগে, তাই বিমা করেছি। বিমা কোম্পানি বিমা করে দিয়েছে। বিমা দাবির টাকা দেবে না, সে কথা তো কোম্পানি বলেনি।’
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আরেক প্রতিষ্ঠান রংপুরের মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির নেওয়া কাভার নোট অনুযায়ী, চীন থেকে ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬৪ টাকার মালামাল আমদানি করা হয়। আগুনে প্রতিষ্ঠানটির মালামাল পুড়ে যাওয়ায় বিমা কোম্পানিতে দাবির টাকা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বিমা পত্রটির কন্ডিশন অফ কভারে উল্লেখ করা হয়েছে- এয়ার রিস্ক অনলি। ফলে আগুনে পুড়ে যাওয়া মালামালের জন্য তিনি কোনো বিমা দাবি পাবেন না।
এ বিষয়ে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মেসার্স মহুবর রহমান পার্টিকেল মিলস লিমিটেডের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের কাছে ৭৯টি বিমা দাবির আবেদন এসেছে। এর মধ্যে ৪৯টি অনলি এয়ার রিস্ক। অনলি এয়ার রিস্ক পলিসিগুলোর জন্য বিমা দাবি পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।- বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী
বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত বিমা দাবির জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে। কোম্পানিটিতে ৭৯টি আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে ৪৯টির বিমা পলিসিই অনলি এয়ার রিস্কের আওতায়। বাকি পলিসিগুলো এয়ার অল রিস্ক। তবে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সে ৩৮টি বিমা দাবির মধ্যে ৩৬টিই এয়ার অল রিস্ক পলিসির আওতায়।
যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের কাছে ৭৯টি বিমা দাবির আবেদন এসেছে। এর মধ্যে ৪৯টি অনলি এয়ার রিস্ক। অনলি এয়ার রিস্ক পলিসিগুলোর জন্য বিমা দাবি পাওয়ার সুযোগ থাকবে না। তবে যদি বিমান বাংলাদেশের কার্গো সেকশন ফায়ার ইন্স্যুরেন্সের কাভারেজটা রাখে, তাহলে তারাও বিমা দাবি পেতে পারেন।’
অনলি এয়ার রিস্ক এ ধরনের বিমা পলিসির কি বৈধতা আছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আছে। এটিও একটি বিমা পলিসি। আমাদের এখানে অনলি এয়ার রিস্ক এবং অল এয়ার রিস্ক উভয় পলিসি আছে। অনলি এয়ার রিস্ক পলিসির প্রিমিয়াম কম, কাভারও কম। গ্রাহক যেটি খুশি নিতে পারবেন।’

লন্ডনে অবস্থিত একটি বিশ্বখ্যাত বিমা ও পুনঃবিমা বাজার লয়েড'স অফ লন্ডন। এটি একক বিমা কোম্পানি নয়। এটি আসলে একটি বাজার ব্যবস্থা যেখানে বিমা সংক্রান্ত ঝুঁকি নেওয়া এবং ভাগ করা হয়। এর ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলো বিভিন্ন সিন্ডিকেট দিয়ে পরিচালিত হয় এবং এটি বিশ্বব্যাপী বিশেষায়িত বিমার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ‘অনলি এয়ার রিস্ক’ এ ধরনের বিমা পলিসি লয়েড’স অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে, লয়েড’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- তারা এ ধরনের কোনো পলিসি অনুমোদন দেয়নি।
বিষয়টি উল্লেখ করে সাধারণ বীমা করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলমকে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, লয়েড’স এর অনুমোদন না থাকলেও বাংলাদেশে কেন এ ধরনের বিমা পলিসি চালু করা হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, আইডিআরএর ক্রেডিট বুকে ‘অনলি এয়ার রিস্ক’ ও ‘অল এয়ার রিস্ক’ দুটি স্পষ্ট বলা আছে। কাজেই এখানে লয়েড’স এর বলার কিছু নেই, আমার রাষ্ট্রের আইনই আইন।’
তিনি বলেন, আইডিআরএর আইনেই আমরা সবকিছু দিয়ে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের ইন্স্যুরেন্স কাভার দিয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের পলিসিই তারা কাভার দিচ্ছে। এ ধরনের পলিসি গ্রহণযোগ্য না হলে তারা কাভার নেবে কেন। আমি যদি অল এয়ার রিস্ক দেই তাও নেয় এবং অনলি এয়ার রিস্ক দিলেও নেয়। কোনোটাই না করে না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এয়ার অল রিস্ক পলিসির আওতায় ওয়্যার হাউজ টু ওয়্যার হাউজ বিমা কাভারেজ থাকে। আর এয়ার রিস্ক অনলি ক্লজে কাভারেজ থাকে এয়ার পোর্ট টু এয়ার পোর্ট তথা বিমানে মালামাল ওঠানোর পর থেকে নামানোর আগ পর্যন্ত সময়টুকুর ঝুঁকি কাভারেজ। ফলে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এয়ার রিস্ক অনলি পলিসির আওতায় থাকা মালামালের কোনো ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ নেই। শুধু এয়ার অল রিস্ক পলিসির আওতায় মালামালের ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে।’
আইডিআরএর আইনেই আমরা সবকিছু দিয়ে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের ইন্স্যুরেন্স কাভার দিয়ে যাচ্ছে। সব ধরনের পলিসিই তারা কাভার দিচ্ছে। এ ধরনের পলিসি গ্রহণযোগ্য না হলে তারা কাভার নেবে কেন। আমি যদি অল এয়ার রিস্ক দেই তাও নেয় এবং অনলি এয়ার রিস্ক দিলেও নেয়। কোনোটাই না করে না।-সাধারণ বীমা করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম
টাঙ্গাইলের ইউনিগ্লোরি পেপার অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের নেওয়া বিমা পলিসিতে ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়- আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী এলসি খোলার ক্ষেত্রে বিমা করতে হয় ওয়ার হাউজ টু ওয়ার হাউজ (অল এয়ার রিস্ক)। কিন্তু ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ইউনিগ্লোরি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এলসি খোলা হয়েছে, যার বিমা করা হয়েছে ‘অনলি এয়ার রিস্ক’। এটার কারণ কি? উত্তরে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে জাগো নিউজকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিমার আওতা (ইন্স্যুরেন্স কভারেজ) ইনকোটার্মস ২০২০ অনুযায়ী ক্রেতা বা বিক্রেতার চাহিদা বিবেচনায় পণ্য পরিবহন ও ঝুঁকির ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা নির্ধারিত হয়।
ব্যাংকটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, আমদানিকারক বিমা করার সময়ে ‘ফ্রি অন বোর্ড’ (এফওবি) শর্তটি বেছে নিয়েছিলেন। এই শর্ত অনুযায়ী, পণ্য জাহাজে তুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সরবরাহকারীর দায়-দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় এবং আমদানিকারককে বিমার ব্যবস্থা করতে হয়। ফলে আমদানিকারকের করা আইসিসি-সি রিস্ক/এয়ার রিস্ক চুক্তিটি পণ্য আমদানিকারকের গুদাম বা অন্য কোনো নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানো পর্যন্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
সংশ্লিষ্ট আমদানি প্রক্রিয়ায় ব্র্যাক ব্যাংক কোনো লেটার অব ক্রেডিট ইস্যু করেনি বলেও ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমদানিকারক চুক্তির ভিত্তিতে আমদানি করেছেন, যেখানে ব্যাংকের সরাসরি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। চুক্তিভিত্তিক আমদানির ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) থেকে প্রকাশ করা ‘ইউনিফর্ম রুলস ফর কালেকশন’ (ইউআরসি ৫২২) কঠোরভাবে মেনে চলে। ইউআরসি ৫২২ অনুযায়ী, আমদানি করা পণ্য গুদামজাত করা বা বিমা করার মতো বিষয়গুলোতে ব্যাংকের কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না বা ব্যাংক এসব কাজে যুক্ত হতে বাধ্যও নয়। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্পূর্ণভাবে গ্রাহকের এখতিয়ার। দেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক ব্যাংকিংয়ের সব আইন কঠোরভাবে মেনে চলে।
এমএএস/এএসএ/এমএফএ/এমএস

20 hours ago
6









English (US) ·