হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীকে বিদায় বা স্বাগত জানাতে সর্বোচ্চ দুইজন ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেন বলে আবারও বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১০ আগস্ট) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাউছার মাহমুদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিদায় বা স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন প্রবেশ করতে পারবেন। যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, যানজট ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দর এলাকায় আগত সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল এবং সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২৫ জুলাই একই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২৭ জুলাই থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিদায় বা স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকার ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপিতে যাত্রীর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেন।
- আরও পড়ুন
- যাত্রী বিদায়-স্বাগত জানাতে শাহজালালে ২ জনের বেশি যেতে পারবে না
- শাহজালাল বিমানবন্দরে তবু সেই ‘মাছ বাজারের ভিড়’
তবে ২৯ জুলাই সরেজমিনে দেখা যায়, টার্মিনাল-১ এবং টার্মিনাল-২ এ আগমনীর চেয়ে বহির্গমনে যাত্রীর চাপ বেশি। এখানে ৬টি পৃথক ফটক দিয়ে টার্মিনালে ঢুকছেন যাত্রীরা। তাদের বিদায় জানাতে ফটলগুলোর সামনে স্বজনেরা জটলা তৈরি করে রেখেছেন। অনেকে ফটক থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে ফ্লোরে আসন পেতে বসে আছেন। অনেক যাত্রীর স্বজনকে ধূমপান, পান, সিগারেট খেতেও দেখা গেছে।
টার্মিনাল-১ এবং টার্মিনাল-২ এর নিচতলায় আগমনী ফটক দুটি। এর মধ্যে অধিকাংশ যাত্রী টার্মিনাল-২ এর ফটক দিয়ে বের হোন। এজন্য এ ফটকের সামনে স্বজনদের ভিড় দেখা গেছে। তাদের অনেকে একেবারেই ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বারবার পেছনের সরিয়ে দিতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু যখন যে যাত্রী বের হন, তখন তার স্বজনেরা দৌড়ে ফটকের সামনে চলে যান। এতে নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটছে।
পরে গত ৩০ জুলাই শাহজালাল বিমানবন্দরে তবু সেই ‘মাছ বাজারের ভিড়’ শিরোনামে জাগো নিউজে একটি বিশেষ প্রতিবেদন ছাপানো হয়েছিল।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, এখন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিনে ৩০টির বেশি উড়োজাহাজ সংস্থার ১২০-১৩০টি প্লেন উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। প্রতিদিন এসব প্লেনে প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও অ্যারাইভাল ক্যানোপি ব্যবহার করেন। শাহজালাল বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হিসাবে, একজন যাত্রীকে বিদায় বা স্বাতগ জানাতে সঙ্গে গড়ে চারজন স্বজন বিমানবন্দরে যান। এ হিসাবে দিনে প্রায় ৮০ হাজার স্বজন বিমানবন্দরে যান।
এমএমএ/ইএ/জিকেএস