বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সূত্র জানায়, মো. মমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই পর্যবেক্ষণে ছিল। প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনার পর দুদক মনে করেছে, এ বিষয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান প্রয়োজন। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
কমিশন অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, মমিনুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিমানের কেন্দ্রীয় তদন্ত শাখা থেকে তার বিরুদ্ধে হওয়া চাকরিচ্যুতির দুটি তদন্ত রিপোর্ট (২০০৬ ও ২০২২ সালে) গায়েব করে দেন।
অভিযোগে বলা হয়, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে তিনি আলিশান বাড়ি, কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স, শেয়ারের ব্যবসাসহ অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। ঢাকা-কুষ্টিয়া রুটে তার মালিকানায় প্রায় ১০ কোটি টাকার সাতটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি বাস) সুপিরিয়র কোচ রয়েছে।
তিনি পরিচালক (প্রশাসন) থাকাকালীন ভ্রমণ ভাতা নীতিমালা পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি করেন। একই সঙ্গে প্রশাসনিক আদেশ লঙ্ঘন করে বিমানের ইঞ্জিনিয়ারদের টিএ/ডিএ বাবদ ১৬ হাজার ১৮৫ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার অবৈধভাবে অনুমোদন দেন।
এসএম/এমএএইচ/জেআইএম