হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি বিভিন্ন বাহিনীও অগ্নিনির্বাপণের কাজে যোগ দিয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় গণমাধ্যমে অডিও বার্তা পাঠান বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ।
তিনি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। শাহজালাল বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া অগ্নি দুর্ঘটনা নিবারণের জন্য আমাদের শাহজালাল বিমানবন্দরের ফায়ার সার্ভিসের লোক কাজ করছে। বিমানবাহিনী থেকে ফায়ার ইউনিট এসে তারা কাজ করছে। প্যারালালি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের লোকজন এসেও কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সাংবাদিক ভাইদের বলব, আমরা এখন একটা ইমারজেন্সি হ্যান্ডেল করছি। এই সময় আপনারা ফোন দিয়ে আমাদের একটু মানে অন্যদিকে ডাইভার্ট করবেন না প্লিজ। আমাদের সহযোগিতা করুন। একটা সমস্যা হয়েছে। আমরা সকলে মিলে এই সমস্যা উত্তরণের চেষ্টা করছি।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আপনারা তথ্য পাবেন। সময় অনুযায়ী তথ্য পাবেন। আমাদের এখন এই ইমার্জেন্সিটাকে নিরাপদে হ্যান্ডেল করার জন্য সুযোগ দিন প্লিজ। আসসালামু আলাইকুম।’
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে নৌ ও বিমানবাহিনী। এ ঘটনার পর বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ জানান, কার্গো সেকশনের পাশে একটি অংশে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং বিমানবন্দরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কর্মকর্তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। ফ্লাইট ওঠানামা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাস্টমসের কুরিয়ার ইউনিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কার্গো কমপ্লেক্সে কেমিক্যালসহ নানা ধরনের দাহ্য পদার্থ রয়েছে।
বিমানবন্দরের ভেতরে অবস্থানরত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কার্গো ভিলেজের কুরিয়ার গোডাউনের একটি অংশ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন পাশের গুদামঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং তীব্র ধোঁয়ায় চারদিক অন্ধকার হয়ে যায়।