আরও একবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতকে জেতালেন বিরাট কোহলি। পাকিস্তানের করা ২৪১ রানের জবাবে নিজের ক্যারিয়ারে ৫১তম সেঞ্চুরি করেন তিনি। বাউন্ডারি মেরে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করার সঙ্গে দলকেও জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। সেঞ্চুরির সঙ্গে ওয়নডে ক্রিকেটে দ্রুততম ১৪ হাজার রান করেন তিনি। ২৮৭ ইনিংস খেলেন কোহলি। শচিন টেন্ডুলকারের লেগেছিল ৩৫০ ইনিংস।
বিরাট কোহলি নিজের ১১তম বলে যখন বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি করে দলকে জেতালেন তখনই মাথা থেকে হেলমেট খুলে ফেলেন। ব্যাট-হেলমেট দুই হাতে নিয়ে তাকালেন আকাশের দিকে। এরপর গ্যালারির একদিকে তাকিয়ে ইঙ্গিত করে নিজের বিজয় উদযাপন করলেন।
গ্যালারিতে কে ছিলেন, যাকে উদ্দেশ্য করে উদযাপন করলেন বিরাট কোহলির মত ব্যাটার! মূলত দর্শকাসনে বসে ম্যাচটা উপভোগ করছিলেন বিরাট কোহলির বিশেষ এক অতিথি। তিনি আর কেউ নন, কোহলির ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা। তাকে দুবাই নিয়ে যান কোহলি নিজেই। রেখেছেনও নিজের হোটেলে।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মাঠে বসে ছাত্রের পুরো ইনিংসই তারিয়ে তারিয়ে দেখেছেন রাজকুমার। ম্যাচের পর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘কোহলিই আমাকে টিকিট দিয়েছে। আমি ওর হোটেলেই থাকছি। ও জানত যে আমি কোথায় বসে আছি। এ রকম ছেলের জন্য গর্ববোধ হবেই। আপনি যদি ওর কোচ হন, তাহলে এর থেকে গর্বের মুহূর্ত আমার কাছে আর নেই।’
কোহলির ফর্ম এবং টেকনিক নিয়ে যত সমালোচনাই হোক, রাজকুমার মনে করেন, তার ছাত্রের চেয়ে বড় ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটার গোটা ভারতে নেই। তিনি বলেছেন, ‘কোহলি মাঠে নামলেই সকলের প্রত্যাশা বেড়ে যায়। প্রত্যেকে আশা করে কোহলি অনেক রান করবে এবং দেশকে জেতাবে। কোহলিই এই দেশের সবচেয়ে বড় ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটার। মনে হয় না ওর মতো কোনও ক্রিকেটার দেশকে এত বেশি ম্যাচ জিতিয়েছে।’
কোহলির প্রতি যাবতীয় সমালোচনাও উড়িয়ে দিয়েছেন রাজকুমার। বলেছেন, ‘মানুষকে বুঝতে হবে কোহলিও একজন মানুষ। কখনও-সখনও ফর্ম হারাতে পারে। কখনও ভাল বলে আউট হয়; কিন্তু ও জাত ক্রিকেটার ছিল এবং সেটাই থাকবে।’
আইএইচএস/