কোন প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পণ্যের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে তা কিছুদিন পরে জানা যাবে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী বাজেটে মূল করের বিষয়গুলো ভালোভাবে সমন্বয় করা হবে।
এদিকে বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় কৃষি পণ্যের বিশেষ ওএমএস (খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়) বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেছেন, জরুরি পরিস্থিতিতে বিশেষ ওএমএস চালু করা হয়। আপাতত এটা বন্ধ করা হয়েছে। যদি আবার জরুরি হয়, তখন বিকল্প দেখা যাবে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকরি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওএমএস এর বিষয়টা আপনারা জানেন আমরা খুব ইমারজেন্সি বেসিসে করেছিলাম। ওটার জন্য স্পেশাল টাকাও দেওয়া হয়েছে। ওটা সাকসেসফুলি ইমপ্লিমেন্ট করা গেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৮ লাখের বেশি লোক ওটার কাভারেজ পেয়েছে। আপাতত ডিসেম্বরে এটা আমরা স্থগিত করলাম। কারণ বাজার মোটামুটি... এসেছে। আর ভবিষ্যতে যদি আবার ইমারজেন্সি হয় তখন দেখা যাবে।
মানুষ এমনিতেই মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে, এ পরিস্থিতিতে বিশেষ ওএমএস বন্ধ করা হলো। আপনাদের বিকল্প কোনো পরিকল্পনা আছে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আপাতত এটা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা নেই। আমরা দেখি। যদি অব্যাহতভাবে চলে, তখন হয়তো অল্টারনেটিভ আমরা আবার শুরু করতে পারি।
তিনি বলেন, এখনো সাপ্লাই চেন ব্রোকারের হাতে। চাল মোকামে থাকে, মোকাম থেকে আনে না। ওগুলো তো ঠিক সাপ্লাইয়ের স্বল্পতা না। সাপ্লাই স্বল্পতা, এটা সাপ্লাই চেন যারা মেনুপুলেট করছে খুচরা-পাইকারি বিক্রেতারা, সেটা একটা কিছু ইস্যু। চালের দামতো কিছুদিন আগে কিছুটা কমেছে। অন্যগুলো মোটামুটি সহনীয় আছে।
কোন ইস্যুতে বিশেষ ওএমএস বন্ধ করছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওটা দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এগুলোতে এত ভর্তুকি দেওয়া হয়, ভালো লোকও লাইনে দাঁড়ায়।
ভ্যাট নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কি প্রেক্ষিতে আমরা করেছি, সেটা কিছুদিন পর আপনারা জানতে পারবেন। আর বাজেটের সময় আমি বলেছি- এখন ভ্যাটের ব্যাপারটা দেখি। বাজেটে মেইন ট্যাক্সের বিষয় যেগুলো থাকবে, সেখানে আমরা আরও ভালোভাবে সমন্বয় করবো।
বৈঠকে ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সারের মজুদ যদি সরকারের না থাকে, তখন বেসরকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। সার কেনার বিষয়ে আমরা আজকে অনুমোদন দিয়েছি। আর পল্লী বিদ্যুতের কিছু বিষয় ছিল, আমরা অনুমোদন দিয়েছি।
উল্লেখ্য গত ১৫ অক্টোবর কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বিশেষ ওএমএস চালু করেছিল সরকার। ৮ লাখের বেশি মানুষ এই কার্যক্রমের সরাসরি সুবিধাভোগী ছিলেন। বিশেষ ওএমএসের কৃষি পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল- ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি আলু, ১৩০ টাকায় এক ডজন ডিম, ৭০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ, এক পিস লাউ ৫০ টাকা।
এমএএস/এসআইটি