বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিতে আইনি নোটিশ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী) ব্যক্তিদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী নাঈম সরদার ও শাহ সারোয়ার সালফ শাওনের পক্ষে জনস্বার্থে ইমেইলে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। নোটিশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী ভোটারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক ও আইনগত দায়িত্ব। কিন্তু নোটিশ গ্রহীতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে দেশের প্রায় ৩০ লাখ প্রতিবন্ধী ভোটার নির্বাচনে কার্যকর অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ৩০ লাখের বেশি প্রতিবন্ধী ভোটার রয়েছেন, যাদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন বলে ত

বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিতে আইনি নোটিশ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী) ব্যক্তিদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী নাঈম সরদার ও শাহ সারোয়ার সালফ শাওনের পক্ষে জনস্বার্থে ইমেইলে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।

নোটিশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী ভোটারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সরকারের সাংবিধানিক ও আইনগত দায়িত্ব। কিন্তু নোটিশ গ্রহীতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে দেশের প্রায় ৩০ লাখ প্রতিবন্ধী ভোটার নির্বাচনে কার্যকর অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ৩০ লাখের বেশি প্রতিবন্ধী ভোটার রয়েছেন, যাদের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। বাকি ৯০ শতাংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এর ফলে গণতন্ত্র চর্চায় মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। বিপুলসংখ্যক প্রতিবন্ধী নাগরিকের মতামত রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিফলিত হচ্ছে না।

এমন অবস্থায় প্রতিবন্ধী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নোটিশ গ্রহীতাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের সব ধরনের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তার জন্য জামানত থেকে অব্যাহতি দিতে ও নির্দিষ্ট সংখ্যক সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা রাখতে অনুরোধ করা হয়। এছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য ব্রেইলি ভোটিং পদ্ধতি প্রচলনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

নোটিশ গ্রহীতারা পাঁচ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে জানানো হয়।

এফএইচ/একিউএফ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow