মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষের জালে গোল বন্যা বইয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডও। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়ে বেলগ্রেডে সার্বিয়াকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে তারা। সে সঙ্গে গ্রুপ কে’র শীর্ষস্থানে আরও মজবুত হলো টমাস টুখেলের শিষ্যরা।
রাজিকো মিতিচ স্টেডিয়ামে শুরুটা ধীরগতির হলেও ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইংল্যান্ড। ৩৩তম মিনিটে ডেক্লান রাইসের কর্নার থেকে হেড করে গোলের সূচনা করেন হ্যারি কেইন। দুই মিনিট পরেই দুর্দান্ত নৈপুণ্যে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের প্রথম গোল করেন ননি মাদুয়েকে।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই সার্বিয়ার রক্ষণের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে টানা দুই গোল করে ইংল্যান্ড। ৫২তম মিনিটে মার্ক গুয়েহির অ্যাসিস্টে এজরি কনসা করেন নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল।
৭২তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় সার্বিয়া। শেষ ভরসা হিসেবে হ্যারি কেইনকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন সার্বিয়ান ডিফেন্ডার নিকোলা মিলেনকোভিচ। এ সময় ফ্রি-কিক থেকে আসা বল গুয়েহি ঠান্ডা মাথায় সার্বিয়ার জালে জড়ালে ৪-০ তে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
ইনজুরি টাইমে (৯০+১ মিনিটে) ভিএআরের সাহায্যে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেন বদলি খেলোয়াড় মার্কাস রাশফোর্ড। ফলে ৫-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে থ্রি লায়ন্সরা।
ইংল্যান্ড কোচ টমাস টুখেলের ওপর সম্প্রতি চাপ বাড়ছিল জুন মাসের বাজে পারফরম্যান্সের পর। যদিও সার্বিয়ার মাঠে এমন দাপুটে জয়ে বড় স্বস্তি পেলেন তিনি। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচ বাকি থাকতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আলবেনিয়ার চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। ‘কে’ গ্রুপে ৫ ম্যাচের সবগুলোতে জয় নিয়ে ১৫ পয়েন্ট অর্জন করেছে হ্যারি কেইনরা। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট আলবেনিয়ার।
মাঠের বাইরের ঘটনা
স্টেডিয়ামের একটি অংশ বন্ধ ছিল আগের ম্যাচে বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে। ম্যাচ চলাকালেও দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। কেউ কেউ লেজার লাইট ও বাঁশি ব্যবহার করে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। তবে সেগুলো মাঠের লড়াইয়ে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
আইএইচএস/জেআইএম