বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার ১৩ বছরেও অসম্পন্ন, ভাইয়ের আক্ষেপ

পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ফটক সংলগ্ন পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার মোড় ও বাহাদুর শাহ পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ চলছিল। মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার তিন মাসের মধ্যে ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একই বছরের ২ জুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্টে আপিলে ৮ জনের মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তিত হয়ে যাবজ্জীবন এবং দুইজন খালাস পান। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ আসামির মধ্যে দুজন খালাস পান। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে আপিলে বিচারাধীন। বিশ্বজিৎ দাস হত্যার স্থান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ফটক সংলগ্ন পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার মোড়ে নির্মিত করা হয়েছে ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’। আজ দুপুরে সেখানে বিশ্বজিৎ দাস হত্যার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের দাবিতে জগন্নাথ ব

বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার ১৩ বছরেও অসম্পন্ন, ভাইয়ের আক্ষেপ

পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ফটক সংলগ্ন পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার মোড় ও বাহাদুর শাহ পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সময় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ চলছিল। মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার তিন মাসের মধ্যে ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একই বছরের ২ জুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে হাইকোর্টে আপিলে ৮ জনের মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তিত হয়ে যাবজ্জীবন এবং দুইজন খালাস পান। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ আসামির মধ্যে দুজন খালাস পান। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে আপিলে বিচারাধীন।

বিশ্বজিৎ দাস হত্যার স্থান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ফটক সংলগ্ন পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার মোড়ে নির্মিত করা হয়েছে ‘বিশ্বজিৎ চত্বর’। আজ দুপুরে সেখানে বিশ্বজিৎ দাস হত্যার প্রতিবাদ ও অভিযুক্তদের মৃত্যুদন্ড কার্যকরের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রশিবির এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধনে বিশ্বজিতের বড় ভাই উত্তম কুমার দাস বলেন, ১৩ বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার হয়নি। আমার আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। শুধু চাই, এই সরকার যেন দ্রুততম সময়ে খুনিদের বিচারের ব্যবস্থা করে। যাতে অন্তত একটু হলেও শান্তি পাই।

নবনির্মিত বিশ্বজিৎ চত্বরে পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এমডিএএ/এমএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow