বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী বৈচিত্র্যময় চা উৎপাদন করতে হবে

3 months ago 49

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে চা শিল্প সংশ্লিষ্টদের এখন থেকেই সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী গুণগতমানের বৈচিত্র্যময় চা উৎপাদনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

৪ জুন ‘জাতীয় চা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি জাতীয় চা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে চা শিল্পে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে চা শিল্পের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে এ অঞ্চলে চা শিল্পের যাত্রা শুরু হয়।

তিনি বলেন, চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তৎকালীন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি এ বিষয়ে গবেষণার প্রতিও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। পরবর্তী সময়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চা শিল্পের পুনর্বাসনেও তিনি অসামান্য অবদান রাখেন। এ প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের তারিখ ৪ জুন ‘জাতীয় চা দিবস’ হিসেবে পালনের উদ্যোগ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, একসময় চা ছিল দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য। পরবর্তী সময়ে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ফলে চা রপ্তানি কমে গেলেও সরকার চায়ের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর ফলে ২০২৩ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ১০২ দশমিক ৯২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। চা শিল্পের টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়নসহ চা বাগানের শ্রমিক ও পোষ্যদের মৌলিক চাহিদা পূরণ, মজুরি বৃদ্ধি, জীবনমান উন্নয়ন, নারী শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন ও বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপের ফলে সমতলেও চা চাষে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট অর্থনীতি বিনির্মাণে অন্যান্য সেক্টরের পাশাপাশি চা রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনাকেও কাজে লাগাতে হবে।

চলতি বছর চা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের সংকল্প, রপ্তানিমুখী চা শিল্প’-যথার্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডসহ চা শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে-এ প্রত্যাশা করি।’

তিনি ‘জাতীয় চা দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

এমএইচআর/এএসএম

Read Entire Article