বিশ্বখ্যাত ভোক্তাপণ্য নির্মাতা নেসলে তাদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লরঁ ফ্রেক্সকে বরখাস্ত করেছে। নিয়োগের এক বছরের মাথায়ই তার বিরুদ্ধে এক গোপন সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগের তদন্ত শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সম্পর্কটি তার সরাসরি অধীনস্থ এক কর্মীর সঙ্গে ছিল, যা কোম্পানির নৈতিকতা বিধিমালার লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হয়েছে।
নেতৃত্ব পরিবর্তনের এ ঘটনা শুধু নেসলে-তেই নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তের ভোক্তাপণ্যখাতে এমন পরিবর্তনের একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানিগুলো গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত হারে তাদের সিইওদের অপসারণ করছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এসঅ্যান্ডপি ৫০০ তালিকাভুক্ত অন্তত ৪১ কোম্পানির সিইও পদত্যাগ বা অপসারিত হয়েছেন। ২০২৪ সালে পুরো বছরজুড়ে এ সংখ্যা ছিল ৪৯।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতৃত্বের এই রদবদল শুধু আচরণগত শুদ্ধাচার রক্ষাই নয়, বরং প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহি ও কর্মস্থলের নৈতিকতা মানদণ্ড নিয়ে নতুন করে ভাবনার সুযোগ তৈরি করছে।
সব শেষ জাপানের অন্যতম বৃহৎ পানীয় কোম্পানি সানটোরি হোল্ডিংস-এর চেয়ারম্যান ও সিইও তাকেশি নিনামি পদত্যাগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে টিএইচসি (গাজার উপাদন) যুক্ত পণ্য কেনার অভিযোগ উঠেছে, যা জাপানে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
৬৬ বছর বয়সী নিনামি জাপানের করপোরেট দুনিয়ার পরিচিত মুখ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রায়শই প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তিনি যেসব সাপ্লিমেন্ট কিনেছিলেন, সেগুলোকে আইনসম্মত বলে বিশ্বাস করতেন।
জাপানি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, পুলিশের সন্দেহ তিনি বিদেশ থেকে টিএইচসি যুক্ত পণ্য পেয়েছিলেন একজন পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে। এরপর পুলিশ নিনামির টোকিওর বাসভবনে তল্লাশি চালায়।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম