বিশ্বশান্তির জন্য যুদ্ধ বন্ধে আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

3 months ago 45

বিশ্বশান্তির জন্য ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধ বন্ধে আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিককালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। তাতে আমাদের কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বশান্তির জন্য যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান অব্যাহত রেখেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো বৈরিতা নয়’ নীতিতে বিশ্বাস করি।

বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের এক লিখিত প্রশ্নে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন।

আরও পড়ুন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে শুরু থেকেই আমরা সমন্বিত উদ্যোগ নেই। বৈশ্বিক অবস্থানে আমাদের অগ্রগতি সন্তোষজনক হলেও করোনার কারণে সারাবিশ্বের ন্যায় আমাদের এখানেও বাস্তবায়ন কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। আমরা অত্যন্ত দক্ষতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। জীবন ও জীবিকা সমুন্নত রেখে অর্থনীতিকেও এগিয়ে নিতে পেরেছি। কোভিডের পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আর এ যুদ্ধকে কেন্দ্র করে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে থাকে। মূল্যস্ফীতির নেতিবাচক প্রভাব আমাদেরও বহন করতে হচ্ছে। আমরা মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির সমন্বয় করে এটিকে মোকাবিলার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে অবদানকারী দেশ। আমাদের দেশে এসডিজি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা। জলবায়ু পরিবর্তনে আবেদনকারী দেশ না হলেও অন্যতম ভুক্তভোগী দেশ। নিজস্ব অর্থে অভিযোজন সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তবে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (২০২৩-২০৫০) বাস্তবায়নে প্রয়োজন প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আবার ২০৩০ সালের মধ্যে ন্যাশনাললি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) বাস্তবায়নের জন্য ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে। কাজেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলাসহ সার্বিকভাবে সম্পূর্ণ এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অর্থায়ন একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ, সেহেতু আমার পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে এসডিজিকে সমন্বিত করে কাজ করছি। আশাবাদী ২০৩০ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হবো।

আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস

Read Entire Article