বিশ্বে প্রতিদিন কতবার ভূমিকম্প হয়?
বাংলাদেশে গত দুইদিনে অন্তত চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এ নিয়ে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এগুলোকে ভবিষ্যতের বড় কোনো ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা হিসেবেও দাবি করছেন কেউ কেউ। তবে বিজ্ঞান বলছে, আমাদের পৃথিবী প্রায় সবসময়ই কাঁপছে। অর্থাৎ প্রায় প্রতি মুহূর্তেই কোথাও না কোথাও ভূমিকম্প হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫৫টি ভূমিকম্প ঘটে। সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের অধীন জাতীয় ভূমিকম্প তথ্য কেন্দ্র (এনইআইসি) বছরে প্রায় ২০ হাজার ভূমিকম্প শনাক্ত করে। সেই হিসাবে প্রতিদিন ঘটে প্রায় ৫০টি ভূমিকম্প। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, এই ৫৫টি হলো রেকর্ডযোগ্য বা অনুভবযোগ্য ভূমিকম্প। অর্থাৎ মানুষ বা যন্ত্রের সাহায্যে সহজেই শনাক্তযোগ্য মাত্রার। আরও পড়ুন>>পশুপাখি কি ভূমিকম্প আগাম টের পায়?ভূমিকম্পের পর ‘আফটারশক’ কেন হয়, কতবার হতে পারে?ফ্যাক্ট চেক/ ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া কি সত্যিই সম্ভব?বিজ্ঞানীরা কীভাবে ভূমিকম্পের কেন্দ্র নির্ধারণ করেন? প্রকৃতপক্ষে, পৃথিবীতে ছোট ও ক্ষুদ্র ভূমিকম্পের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক অনেকগুণ বেশি। বহু ক্ষুদ্র কম্পন মানুষ টের পায় না। অনেক সময় সেগুলো ক
বাংলাদেশে গত দুইদিনে অন্তত চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এ নিয়ে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এগুলোকে ভবিষ্যতের বড় কোনো ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা হিসেবেও দাবি করছেন কেউ কেউ। তবে বিজ্ঞান বলছে, আমাদের পৃথিবী প্রায় সবসময়ই কাঁপছে। অর্থাৎ প্রায় প্রতি মুহূর্তেই কোথাও না কোথাও ভূমিকম্প হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫৫টি ভূমিকম্প ঘটে। সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের অধীন জাতীয় ভূমিকম্প তথ্য কেন্দ্র (এনইআইসি) বছরে প্রায় ২০ হাজার ভূমিকম্প শনাক্ত করে। সেই হিসাবে প্রতিদিন ঘটে প্রায় ৫০টি ভূমিকম্প।
তবে এখানে উল্লেখ্য যে, এই ৫৫টি হলো রেকর্ডযোগ্য বা অনুভবযোগ্য ভূমিকম্প। অর্থাৎ মানুষ বা যন্ত্রের সাহায্যে সহজেই শনাক্তযোগ্য মাত্রার।
আরও পড়ুন>>
পশুপাখি কি ভূমিকম্প আগাম টের পায়?
ভূমিকম্পের পর ‘আফটারশক’ কেন হয়, কতবার হতে পারে?
ফ্যাক্ট চেক/ ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া কি সত্যিই সম্ভব?
বিজ্ঞানীরা কীভাবে ভূমিকম্পের কেন্দ্র নির্ধারণ করেন?
প্রকৃতপক্ষে, পৃথিবীতে ছোট ও ক্ষুদ্র ভূমিকম্পের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক অনেকগুণ বেশি। বহু ক্ষুদ্র কম্পন মানুষ টের পায় না। অনেক সময় সেগুলো কেবল সংবেদনশীল সিসমোগ্রাফেই ধরা পড়ে। ইউএসজিএসের হিসাবে, এ ধরনের ভূমিকম্পের সংখ্যা কয়েক লাখ হতে পারে।
কম্প্রিহেনসিভ আর্থকোয়াক ক্যাটালগের (কমক্যাট) ক্যাটালগ অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পৃথিবীতে রেকর্ড করা ভূমিকম্পের সংখ্যা বেড়েছে। তবে এর কারণ ভূমিকম্প বেশি হওয়া নয়, বরং সিসমোগ্রাফ ও নজরদারি ব্যবস্থার উন্নতি।
বড় ভূমিকম্পের পরিসংখ্যান
দীর্ঘমেয়াদি রেকর্ড অনুযায়ী, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৬টি বড় ভূমিকম্প (মাত্রা সাত বা তার বেশি) ঘটে। এর মধ্যে প্রায় ১৫টি ভূমিকম্প হয় মাত্রা ৭ থেকে ৭ দশমিক ৯ এর মধ্যে এবং একটির মাত্রা থাকে আট বা তার বেশি।
তবে ইতিহাসে কিছু বছরে সাধারণ বার্ষিক গড়ের চেয়ে বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। যেমন ২০১০ সালে ২৩টি বড় ধরনের ভূমিকম্প দেখেছিল বিশ্ব।
কেএএ/
What's Your Reaction?