বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গাঁজা উৎপাদন কেন্দ্রকে গন্ধ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ
নেদারল্যান্ডসে একটি স্থানীয় ডাচ পরিবেশ সংস্থা জানিয়েছে, ক্যানআডেলার কোম্পানি পরিচালিত খামারটি যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গাঁজার তীব্র গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তবে জরিমানা কিংবা স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। সপ্তাহের শুরুতে আদালতের রায়ের পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বৈধ গাঁজা উৎপাদন কেন্দ্র।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ক্যানআডেলার কোম্পানি পরিচালিত এ খামারটি নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর রটারড্যামের পশ্চিমে অবস্থিত। ২০২৩ সালে কয়েকটি কোম্পানিকে কঠোর শর্তে সরকারি অনুমোদনের আওতায় গাঁজা চাষের অনুমতি দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে এই বিশাল ফার্মটি চালু হয়। তবে উদ্বোধনের পর থেকেই পার্শ্ববর্তী শত শত বাসিন্দার কাছ থেকে গন্ধজনিত অভিযোগ জমা পড়তে থাকে।
চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বাসিন্দার কাছ থেকে মোট দুই হাজারের বেশি অভিযোগ এসেছে বলে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা ডিসিএমআর জানিয়েছে। সংস্থার পরিদর্শকরা একাধিকবার ওই ফার্মে গিয়ে গন্ধজনিত সমস্যা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং তারা দেখেছেন— প্রতিষ্ঠানটি সব সময় নিয়ম মানছে না। ফলে স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষ গন্ধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ বিধি জারি করেছে।
গতকাল বুধবার রটারডামের আদালত প্রাথমিক রায়ে জানান, বিধিগুলো বহাল থাকবে এবং কোম্পানিকে এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। আদালত আরও উল্লেখ করেন, ২০২৩ সাল থেকে গন্ধের সমস্যা গুরুতর আকারে বিরাজ করছে এবং ক্যানআডেলার যে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে তারা স্বল্প সময়ে পর্যাপ্ত উন্নতি আনবে কি না, সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।
নিয়ম না মানলে কোম্পানির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৪১ লাখ ডলার পর্যন্ত জরিমানা আরোপ হতে পারে। কোম্পানিটির পরিচালক নেদারল্যান্ডসের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনওএসকে বলেছেন, আমরা চলতি মাসের শুরু থেকে এয়ার ফিল্টার বসানো শুরু করেছি এবং আরও বসানো হবে। আমরা সমস্যার সমাধানের পথে আছি বলে বিশ্বাস করি।
ক্যানআডেলার বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় বৈধ গাঁজা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের গ্রিনহাউস কমপ্লেক্সের আয়তন প্রায় সাতটি ফুটবল মাঠের সমান বলে এনওএস জানিয়েছে।