বিয়েতে প্রথা ভাঙছেন রোনালদো-জর্জিনা
ফুটবল বিশ্বের সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অনেক আগেই জানিয়েছিলেন— ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের পরই তিনি দীর্ঘদিনের সঙ্গী জর্জিনা রদ্রিগেজকে বিয়ে করবেন; কিন্তু এবার সামনে এসেছে আরেকটি বড় খবর। বিয়ের আয়োজনে রোনালদো-জর্জিনা ভাঙছেন বহু বছরের একটি প্রচলিত প্রথা বা রীতি। পিয়ার্স মরগ্যানের সঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো নিশ্চিত করেছেন, বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর— ফিফা বিশ্বকাপ শেষ হলেই তিনি জর্জিনাকে বিয়ে করবেন। বিশ্বকাপ খেলতে তার দলের (পর্তুগাল) অংশগ্রহণও নিশ্চিত হয়েছে। ফলে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বিয়ের আয়োজন ঘিরে। সেখানেই এসেছে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত— যা ভেঙে দিচ্ছে তাদেরকে ঘিরে থাকা প্রচলিত সাংস্কৃতিক নিয়ম। পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম কোরেয়া দা মানহা জানিয়েছে, রোনালদো ও জর্জিনা বিয়ের স্থান হিসেবে আর্জেন্টিনাকে বেছে নিচ্ছেন না। যদিও প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কনের (জর্জিনা) নিজ দেশেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রোনালদো চান, বিয়েটি হোক তার জন্মস্থান মাদেইরায়, যেখানে তার পরিবার, শিকড় এবং আবেগ— সবকিছুই জড়িয়ে আছে। প্রয়োজনে প্রচলতি সংস্কৃতি, রীতি বা নিয়ম ভেঙ্গে হলেও তিনি নিজ এলাকাতে বিয়ের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতে
ফুটবল বিশ্বের সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অনেক আগেই জানিয়েছিলেন— ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের পরই তিনি দীর্ঘদিনের সঙ্গী জর্জিনা রদ্রিগেজকে বিয়ে করবেন; কিন্তু এবার সামনে এসেছে আরেকটি বড় খবর। বিয়ের আয়োজনে রোনালদো-জর্জিনা ভাঙছেন বহু বছরের একটি প্রচলিত প্রথা বা রীতি।
পিয়ার্স মরগ্যানের সঙ্গে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো নিশ্চিত করেছেন, বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর— ফিফা বিশ্বকাপ শেষ হলেই তিনি জর্জিনাকে বিয়ে করবেন। বিশ্বকাপ খেলতে তার দলের (পর্তুগাল) অংশগ্রহণও নিশ্চিত হয়েছে। ফলে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বিয়ের আয়োজন ঘিরে। সেখানেই এসেছে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত— যা ভেঙে দিচ্ছে তাদেরকে ঘিরে থাকা প্রচলিত সাংস্কৃতিক নিয়ম।
পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম কোরেয়া দা মানহা জানিয়েছে, রোনালদো ও জর্জিনা বিয়ের স্থান হিসেবে আর্জেন্টিনাকে বেছে নিচ্ছেন না। যদিও প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কনের (জর্জিনা) নিজ দেশেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু রোনালদো চান, বিয়েটি হোক তার জন্মস্থান মাদেইরায়, যেখানে তার পরিবার, শিকড় এবং আবেগ— সবকিছুই জড়িয়ে আছে। প্রয়োজনে প্রচলতি সংস্কৃতি, রীতি বা নিয়ম ভেঙ্গে হলেও তিনি নিজ এলাকাতে বিয়ের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতে চান।
রোনালদো–জর্জিনা দম্পতি জানান, অনুষ্ঠানটি হবে খুবই ব্যক্তিগত ও ঘনিষ্ঠ। শুধু পরিবারের সদস্য ও কাছের বন্ধুদের নিয়ে। অনুষ্ঠান হবে বিশ্বকাপের পর এবং নতুন সৌদি প্রো লিগ মৌসুম শুরু হওয়ার আগের বিরতির সময়ে।
২০১৬ সালে মাদ্রিদের একটি গুচি স্টোরে প্রথম দেখা হয় রোনালদো ও জর্জিনার। সেখানে কাজ করতেন জর্জিনা। সেখানেই গ্রাহক হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন রোনালদো। প্রথম দেখাতেই দুজনের মধ্যে প্রেমের সূচনা হয়। সেই বছরের নভেম্বরেই তারা সম্পর্কের ঘোষণা দেন।
রোনালদোর প্রথম সন্তান ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র জন্মেছিলেন তার আগেই; কিন্তু জর্জিনা তাকে নিজের সন্তান হিসেবেই দেখেন। নিজের ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন— ‘মম অব সিক্স ব্লেসিংস’ (ছয় সন্তানই আমার আশীর্বাদ)।
২০১৭ সালেই সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেয় যমজ— এভা ও মাতেও। একই বছরে জন্ম হয় তাদের প্রথম সন্তান আলানা মার্টিনার। পরে ২০২২ সালের এপ্রিলে জন্ম নেয় বেলা এসমেরালদা। তবে একই সময়ে তারা হারান যমজ সন্তানদের একজন অ্যাঞ্জেলকে, যা পরিবারটির জন্য ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা।
পিয়ার্স মরগানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রোনালদো আবেগ নিয়ে বলেন, ‘তার মেয়েরাই তাকে উৎসাহ দিয়েছে জর্জিনাকে প্রস্তাব দিতে। অবশেষে ২০২৫ সালের আগস্টে প্রস্তাব দেন তিনি এবং জর্জিনা ইনস্টাগ্রামে সেই আনন্দের মুহূর্তটি শেয়ার করেন- বড় এক হীরার আংটির ঝলমলে ছবিসহ।’
এদিকে মাঠেও ব্যস্ত সময় কাটছে রোনালদোর। সৌদি প্রো লিগে আল নাসর বর্তমানে প্রস্তুতি নিচ্ছে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের পঞ্চম ম্যাচে এফসি ইস্তিকলল দুসানবের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য, যা অনুষ্ঠিত হবে বুধবার, ২৬ নভেম্বর। শুধু তাই নয়, সৌদি প্রো লিগেও প্রথম ৯ ম্যাচের সবগুলো জিতে পূর্ণ ২৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে রোনালদোর আল নাসর।
আইএইচএস/
What's Your Reaction?