বিয়ের ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

4 months ago 50

টাঙ্গাইলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের বিয়ের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রথিন্দ্রনাথ সরকার কাজল নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি স্বীকার করায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সালিশদাররা।

অভিযুক্ত রথিন্দ্রনাথ সরকার কাজল টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অলোয়া তারিণী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

শুক্রবার (৩১ মে) রাত ১০টার দিকে টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অলোয়া তারিণী এলাকার তিন রাস্তার মোড়ের ওই সালিশি বৈঠক বসে। সালিশে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন কাজল। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিবেন বলে জানান।

বৈঠকে স্থানীয় মাতব্বর আজগর আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন আকাব্বর হোসেন, দেলোয়ার প্রিন্সিপাল, অভিযোগকারী ছেলের বাবা আনোয়ার হোসেন, মেয়ের বাবা জামাল মিয়াসহ গণ্যমান্য মাতব্বর ও প্রায় তিন শতাধিক এলাকাবাসী।

অভিযোগকারী ছেলে ও মেয়ের বাবা বলেন, ভুয়া মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক এনে জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে আমাদের দুই অভিভাবকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেন কাজল মাস্টার। পরে আমরা জানতে পারি টাকা খাওয়ার জন্য ঘটনাটি ছিল কাজল মাস্টারের সাজানো। এ কারণে আমরা দুই পরিবার সমাজের মাতব্বরদের কাছে বিচার প্রার্থনা করি।

টাঙ্গাইল, বিয়ের ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা কাউন্সিলর ফারুক হোসেনের কাছের দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রথিন্দ্রনাথ সরকার কাজল।

সালিশি বৈঠকের সভাপতি ও স্থানীয় মাতব্বর আজগর আলী বলেন, কাজল মাস্টারের বিরুদ্ধে উঠা ঘুষের টাকা নেওয়ার অভিযোগটি প্রমাণিত হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই টাকা ফেরত দিবেন বলে সময় নিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফারুক হোসেন জানান, অপ্রাপ্ত বয়সী ছেলে ও মেয়ের বিয়ের বিষয়ে একটি সালিশ হয়েছিল। তবে সেই সালিশে আমি উপস্থিত ছিলাম না। ওই ঘটনায় কাজল মাস্টার আমাকে টাকা দিয়েছিলেন তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার চালানোর জন্য আমি কাজল মাস্টারকে ধরবো।

আরিফুর রহমান টগর/আরএইচ/জেআইএম

Read Entire Article