রাজধানীর কদমতলীতে বস্তাবন্দি মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতের নাম রোকসানা। বিয়ের জন্য প্রেমিককে চাপ দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কদমতলী থানা-পুলিশ। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
গ্রেফতার তিনজন হলেন এলাহিন ওরফে এলাহি ইব্রাহিম (৪২), তার স্ত্রী সুমি আক্তার (৩২) ও শ্যালক মো. সাইফুল ইসলাম (২৪)। তাদের মধ্যে সাইফুলের সঙ্গে রোকসানার সম্পর্ক ছিল। তিনজনকে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর ) রাত ৯টার দিকে কদমতলী থানার জুরাইন বৌবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
ডিসি তালেবুর জানান, গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে কদমতলী থানা জানতে পারে, লাল মিয়া সড়কের হাজি মিছির আলীর বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে একটি সন্দেহজনক বস্তা পড়ে আছে। পরে পুলিশ গিয়ে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে বস্তাটি খুলে একজন অজ্ঞাতপরিচয় নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আঙুলের ছাপ নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিচয় শনাক্ত করে। এর ভিত্তিতে তার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে শনিবার দুপুরে বোন মোসা. সুমি আক্তার ও ভগ্নিপতি মো. গোফরান হাওলাদার থানায় এসে জানান, রোকসানা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সেই সঙ্গে তারা মৃতদেহের ছবি দেখে রোকসানাকে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ভগ্নিপতি গোফরান বাদী হয়ে কদমতলী থানায় হত্যা মামলা করেন।
ডিসি তালেবুর বলেন, মামলা হওয়ার পর চারটি দল তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা, পলিথিন ও ভুক্তভোগীর স্যান্ডেল জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার এলাহি ইব্রাহিমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাদ দিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, এলাহির শ্যালক সাইফুলের সঙ্গে রোকসানার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে সাইফুল অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে রোকসানা বাধা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাইফুল, তার বোন সুমি ও ভগ্নিপতি এলাহি পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করেন।
কেআর/একিউএফ/জিকেএস