বিয়ের দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে শরীয়তপুরের বিনোদপুরে কাজিকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান কাজী (৫০), মনোয়ার কাজী (৩২), সাবেক ইউপি সদস্য বোরহান কাজী (৫০) ও আজিজুল সরদার (৫০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজিকান্দি এলাকার আজিজুল হক সরদার এবং ইমামুল হক এনামুল দুই ভাই। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও মনোমালিন্য চলে আসছে। ৮ ফেব্রুয়ারি এনামুল সরদারের মেয়ের বিয়ে হলে তিনি তার ভাই আজিজুল সরদারের পরিবারকে দাওয়াত দেননি।
এদিকে আজিজুল সরদারের ছেলের বিয়ে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি। প্রতিশোধ হিসেবে তিনিও এনামুলের পরিবারকে দাওয়াত দেননি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এনামুল সরদারের পক্ষের লোকজন রামদা, বাঁশ ও লাঠি নিয়ে আজিজুল সরদারের বাড়িতে হামলা চালান। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।
একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে অন্তত আটজন আহত হন। তাদের মধ্যে চারজন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর বাকিরা বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সামসুল হক সরদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজিজুল সরদারের পক্ষের লোক আহত ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান কাজী বলেন, এনামুল তার মেয়ের বিয়েতে আমাদের দাওয়াত দেbনি। কিন্তু আমরা তাদের দাওয়াত দিতে চেয়েছিলাম। তবুও ক্ষিপ্ত হয়ে এনামুল সরদার ও খলিল মাদবরের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন লোক আমাদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়েকজনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করে।
এনামুলের সরদারের পক্ষের লোক সামসুল হক বলেন, ওরা দুজনই সম্পর্কে আমার ভাই। সংঘর্ষের খবরে থামাতে গিয়েছিলাম। তখন আমার মাথা ও হাতে আঘাত লেগেছে। আমি কারো পক্ষ হয়ে হামলা চালাইনি।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, আহত অবস্থায় চারজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, বিনোদপুর এলাকায় দুটি পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। দুই পক্ষের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
বিধান মজুমদার অনি/জেডএইচ/এএসএম