সম্প্রতি পাঁজরে আঘাত পেয়েছিলেন বলিউড ভাইজান সালমান খান। তার নতুন সিনেমা ‘সিকান্দার’র শুটিংয়ের সময় এমন অঘটন ঘটে। কিন্তু এতদিন এ নিয়ে মুখ খোলেননি সালমান। এবার ‘বিগ বস’র একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে নিজেই স্বীকার করছেন আঘাত পাওয়ার কথা। এ সময় সালমানের ছবি তুলতে আসা ফটো সাংবাদিকদের তার কাছে সাবধানে আসার অনুরোধ করেন।
‘সিকান্দার’ সিনেমার পরিচালক সালমানের আঘাত পাওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনতে চাননি। কিন্তু ভাইজান সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেখানে নিজের আসন ছেড়ে উঠতে তাকে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এ দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে অনেকেই অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ‘সালমানের বয়স বাড়ছে’। তবে এর পেছনে বুকের পাঁজরে আঘাত পাওয়ার ঘটনা ছিল।
সালমান তার চিরচেনা স্টাইলে ‘বিগ বস’র অনুষ্ঠানে প্রবেশ করছিলেন। সেই সময়ে তাকে ঘিরে ধরেন ফটো সাংবাদিকরা। তখন সালমান কিছুটা গরম স্বরে সাবধান করেন ফটো সাংবাদিকদের। সালমানকে বলতে শোনা যায়, ‘একটু সাবধানে। আমার দুই পাঁজর ভাঙা।’
গত জুন মাসে মুম্বাইয়ে ‘সিকান্দার’র সিনেমার শুটিং শুরু হয়। ৪৫ দিনের শিডিউলে মূলত অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করবেন সালমান। মুম্বাইয়ে সেট তৈরি করতেই প্রযোজককে ১৫ কোটি রুপি খরচ করতে হয়েছে। শেষে ইউনিট পাড়ি দেবে হায়দরাবাদে।
‘সিকান্দার’ সিনেমায় সালমান ছাড়াও রাশমিকা মান্দানা, প্রতীক ও দক্ষিণী অভিনেতা সত্যরাজ রয়েছেন। এখন হায়দারাবাদে শুটিংয়ের জন্য একটি প্রাসাদের খোঁজে রয়েছেন সিনেমাটির পরিচালক। আগামী নভেম্বর মাসে সিনেমার পরবর্তী লটের শুটিং হবে শুরু হবে। এ সিনেমার শুটিং ছাড়াও সালমান ‘বিগ বস-১৮’ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এবারও তাকে দেখা যাবে সঞ্চালকের ভূমিকায় দেখা যাবে।
Bhai about his rib injury, says 2 pasliyan tooti hain Plz take care #SalmanKhan bhai #BiggBoss18 pic.twitter.com/sGn75122ig
— Nav Kandola (@SalmaniacNav) September 5, 2024এদিকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের টার্গেটে রয়েছেন সালমান। তাকে একের পর এক হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন আর সালমান এই হুমকি খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু ভাইজানের নিরাপত্তা নিয়ে তার ভক্ত-অনুরাগীরা ভীষণ চিন্তত।
শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি সালমানের বাড়ির দেওয়ালে গুলিবর্ষণও করা হয়েছে। এ নিয়ে ভারত সরকারের নিরাত্তা বিভাগ বেশ তৎপড় হয়েছিল। ফলে শুটিং ফ্লোরে অভিনেতার নিরাপত্তার বিষয়য়ে করা নজর দেওয়া হচ্ছে। সালমানের সঙ্গে একটি বিশেষ নিরাপত্তা ইউনিট রাখা হচ্ছে।
এমএমএফ/এএসএম