বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকে পড়েছে ছাত্র জনতা। বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি ভাঙার কথা থাকলেও তার আগেই ঢুকে পড়েছে তারা। যার কাছে যা ছিল তাই নিয়ে ভাঙচুর চালাচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যে বাড়িটিতে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। বুলডোজার না আসলেও ভেঙে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বঘোষিত অনলাইন বক্তব্যকে ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়ে। একই সঙ্গে সেখানে ভাঙচুর চালাতে দেখা গেছে। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘোষণা করেন, শেখ হাসিনা কোনো বক্তব্য দিলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
উপস্থিত ছাত্রজনতা জানান, আমরা সন্ধ্যার পর থেকে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে আছি। প্রতি মিনিটে মিনিটে শত শত মানুষ যোগ দিচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথম স্বৈরাচারের চিহ্ন বুলডোজার দিয়ে মুছে দিতে চাই।
বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, আজকে ছাত্রলীগের ব্যানারে জাতির সামনে শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন। আমাদের ভাইদের গুলি করে দেশ থেকে তিনি পালিয়েছেন। তিনি কী করে আবার কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আমরা এ দেশে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার কোনো অস্তিত্ব রাখব না।
এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে মিছিল কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। কেউ লিখেছেন, ‘থাকবে না- ফ্যাসিবাদের আঁতুড়ঘর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থাকবে না’। এ ছাড়া বুলডোজার মিছিলের একটি পোস্টারে ছেয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
বুধবার সন্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, ‘রাতে দেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে’। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে লেখেন – ‘উৎসব হোক!’
এর আগে হাসনাত আব্দুল্লাহ এক বক্তব্যে বলেন, আমরা হাসিনা চ্যাপ্টার, ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ৫ আগস্ট ক্লোজ করে দিয়েছি। ৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী যে দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের মতের পার্থক্য হবে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য হবে, বিভাজন থাকবে। কিন্তু এক জায়গায় স্পষ্ট, হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনোভাবে এ দেশে হতে দেওয়া হবে না।