বুয়েটে চান্স পেলেন যমজ ২ ভাই
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় একসঙ্গে চান্স পেয়ে তাক লাগিয়েছেন যমজ দুই ভাই নাহিদুল ইসলাম সামি ও মাহিদুল ইসলাম অমি। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের যমজ ভাই উভয়ই কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
সামি মেধা তালিকায় ৫২তম এবং অমি ১০১তম হয়েছেন। বুয়েট ছাড়াও সামি চুয়েটে ২০৫তম ও কুয়েটে ৯১৩তম এবং অমি চুয়েটে ১৪তম ও কুয়েটে ২৮৭তম হয়েছেন।
জানা গেছে, সামি ও অমি মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ বৌদ্ধ উচ্চ বিদ্যালয় (জেবি) থেকে ২০২২ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হন। পরে সামি চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ও অমি চট্টগ্রাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। তারা মিরসরাই উপজেলার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় গ্রামের হাবিব উল্ল্যাহ ভূইয়া বাড়ির জসিম উদ্দিন দুলালের যমজ সন্তান। জসিম উদ্দিন দুলাল চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
দুই ছেলে বুয়েটে চান্স পাওয়ায় খুশি বাবা জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল সন্তানদের বুয়েটে পড়াবো। আল্লাহ আমার সেই স্বপ্নপূরণ করেছেন। আমার সন্তানরা আলহামদুলিল্লাহ খুবই মেধাবী। তারা দুজনই জেএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং এইচএসসিতেও গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাদের এই প্রাপ্তিতে আমি গর্বিত।’
যমজ ভাইদের একজন নাহিদুল ইসলাম সামি বলেন, ‘দুই ভাই একসঙ্গে চান্স পাওয়ায় ভালো লাগছে। এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। বাবা-মা ও শিক্ষকদের প্রতি ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও অনুপ্রেরণায় আমরা এতদূর এসেছি।’
যমজ ভাইদের অপরজন মাহিদুল ইসলাম অমি বলেন, ‘বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতার কারণে আমাদের দুই ভাইয়ের এই সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ত্যাগ, পরিশ্রম ও সাধনার কোনো বিকল্প নেই। পড়াশোনার বিষয়ে আমরা কখনো ন্যূনতম অবহেলা করতাম না। সময়ের পড়া সময়েই শেষ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতাম।’