বৃষ্টি কমায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

3 months ago 36

পাহাড়ি ঢল কম নামায় সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা ও বোলাই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারা বাজার, তাহিরপুর, বিশম্ভরপুর ও মধ্যনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষরা এখনো ভোগান্তিতে রয়েছেন। কারণ নদনদীর পানি কমলেও তাদের বসতভিটা থেকে এখনো পানি কমেনি। এমনকি নিম্নাঞ্চলের তলিয়ে যাওয়া গ্রামীণ সড়কগুলোও থেকেও পানি নামেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৬ থেকে ৭ দিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সকল নদ নদীর পানি বাড়ে। ফলে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের পাশাপাশি পৌর শহরের নিচু এলাকায় পানি ঢোকে। তবে এরইমধ্যে শহরের নিচু এলাকা থেকে পানি নামলেও নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামেনি। ফলে পরিবার নিয়ে এখনও পানিবন্দি অবস্থায় আছেন জেলার ৫ লাখ মানুষ।

এদিকে বন্যার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের ৫১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে এরইমধ্যে ২৫ হাজার মানুষ উঠেছেন। কিন্তু এই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে এরইমধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সহায়তার চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষরা বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য সহায়তা পাচ্ছি না। সেইসঙ্গে যা খাদ্য সহায়তা আসে সেগুলো কোউ পায় কেউ পায় না।

তাহিরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দা রনি মিয়া বলেন, ঢলের পানি ঘরের ভেতরে। তারপরও আশ্রয়কেন্দ্রে যাইনি ভিটামাটির মায়ায়।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দা সুরুজ মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের মানুষরা বন্যায় সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে। এই বন্যা থেকে আল্লাহ কবে যে মুক্তি দেবেন।

সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে এসে বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছি না। পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছি না। সত্যি অনেক কষ্টে আছি এই বন্যায়।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নীত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কম হওয়ায় কমতে শুরু করছে নদীর পানি। উন্নতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লিপসন আহমেদ/এফএ/এমএস

Read Entire Article