বৃহত্তর নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশন জার্মানির উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী

3 months ago 21

ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন বৃহত্তর নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশন জার্মানির উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের একটি অডিটোরিয়ামে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি পরিণত হয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায়।

ঈদ পরবর্তী প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই মিলনমেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি।

jagonews24

সংগঠনের সভাপতি ব্যবসায়ী শাহ আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তাহের মোহাম্মদ ও সহ-সম্পাদক জামশেদ আলম রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি রেজা হক সিজার, আবু তোহা, তসলিম ইসলাম, বেলাল হোসেন, সাজ্জাদুর রহমান, ফারুক হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ, অর্থ সম্পাদক হাসান ভুঁইয়া, খালেদা বেগম, ফারজানা রেজাসহ সংগঠনের নেতারা। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের সকল স্তরের সদস্যরা।

jagonews24

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশীয় সংস্কৃতি চর্চা এবং এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টির আহ্বান জানান। তিনি সুন্দর আয়োজনের জন্য সংগঠনের সদস্যদের অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে জার্মানি প্রবাসী শিল্পি নিম্মি কাদের, আব্দুল মুনিম, তানিমা তাসনিম রানুর একের পর এক গান সবাইকে মুগ্ধ করেন। এছাড়াও মীর জাবেদা ইয়াসমিন ইমি স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠানে ছোটদের চকলেট দৌড়, বড়দের চেয়ার খেলা এবং নারীদের বালিশ খেলা ও লটারি সকলে উপভোগ করেন। ল্যাপটপ, আইপ্যাড, মোবাইলসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন সংগঠনের নেতারা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে দেশীয় খাবারের ব্যাপক আয়োজন ছিল।

jagonews24

বৃহত্তর নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশন জার্মানির সংগঠকরা জানিয়েছেন, জার্মানিতে বৃহত্তর নোয়াখালীর তিন জেলা থেকে আগত প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে এবং বিশেষ করে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের কাছে দেশীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরার লক্ষ্যে সংগঠনটি কাজ করছে। এছাড়াও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির উন্নয়নে এই সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

এমআরএম

Read Entire Article