বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার পার্থক্য জানেন?

2 months ago 7

বেকিং সোডা ও বেকিং পাউডার দুটিই মূলত রান্নার উপাদান। পেস্ট্রি, কেক, প্যান কেক ফুলে উঠতে সাহায্য করে এই দুই উপকরণ। পাশাপাশি নরম ও মজাদার স্বাদ এনে দেয়। দেখতে একই রকম হলেও গঠন, বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহারের দিক দিয়ে রয়েছে বেশ কিছু পার্থক্য।

বেকিং সোডা কী?

বেকিং সোডা তৈরিতে মাত্র একটি উপকরণ ব্যবহার করা হয়। সোডিয়াম বাইকার্বনেটের মিহি গুঁড়াই হলো বেকিং সোডা। ঝটপট ফুলে ওঠার প্রয়োজন যেসব খাবারে, সেসব খাবার তৈরিতে এর প্রয়োজন পড়ে। মাফিন, প্যানকেক বা কুইক ব্রেডে এটি ব্যবহার করা হয়।

বেকিং পাউডার কী?

সোডিয়াম বাইকার্বনেটের সঙ্গে ক্রিম অফ টার্টার ও স্টার্চ এই দুই অ্যাসিডিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি করা হয় বেকিং পাউডার। বেকিং সোডা দেখতে অনেকটা মিহি ও হালকা হয়। বেকিং পাউডার আকারে ছোট হলেও কিছুটা ঘন ও দানাদার।

বেকিং সোডার বদলে কি বেকিং পাউডার ব্যবহার করা যায়?

বেকিং সোডার বদলে বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে চাইলে আধা চা চামচ বেকিং সোডার বদলে ২ চা চামচ বেকিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে।

বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডার পার্থক্য

সাধারণত দই, লেবুর রস, ভিনেগারের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে খাবারে ব্যবহার করতে হয়। আর বেকিং পাউডারে আগে থেকেই অ্যাসিডিক উপাদান যুক্ত থাকে। শুধু পানির সঙ্গে বেকিং পাউডার মিশিয়েই খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা যায়।

বেকিং পাউডারের চেয়ে বেকিং সোডা অনেকাংশেই বেশি শক্তিশালী। যেমন কোনো খাবার তৈরিতে হয়তো দুই চা চামচ বেকিং পাউডার ব্যবহার করা প্রয়োজন। এর পরিবর্তে একই খাবার তৈরিতে হাফ চা চামচ বেকিং সোডা ব্যবহারই যথেষ্ট।

তবে পরিমাণে অল্প ব্যবহার করা যায় বলেই যেকোনো খাবারেই বেকিং সোডা ব্যবহার করা যায় না। সাধারণত দই, বাটারমিল্ক দিয়ে তৈরি নান, ইডলি, রুটি এবং ভাজাপোড়া খাবার তৈরিতে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে হয়। আর কেক, পেনকেক, বেক করা কুকিজ এসব খাবার তৈরিতে বেকিং পাউডার ব্যবহার করা হয়।

বেকিং সোডা পুরোপুরি আবদ্ধ অবস্থায় প্রায় দুই বছর পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী থাকে। অন্যদিকে বেকিং পাউডার দেড় বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে ব্যবহার শুরু করার পর দুটিই ছয় মাস মেয়াদের শেষ করা ভালো।

এসএকেওয়াই/এমএমএআর/জিকেএস

Read Entire Article