বেত্রাঘাতে ছাত্রের চোখ নষ্ট হওয়ার উপক্রম, শাস্তি হয়নি শিক্ষকের

4 months ago 23

ফেনীতে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের ডান চোখে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ ঘটনার ২৬ দিনেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওই ছাত্রের পরিবার।

গত ১৭ মে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ওয়াজেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস মজুমদারের ওই ছাত্রকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী শিশুর নাম মাহেদুল ইসলাম। সে জগতপুর এলাকার ডাক্তার বাড়ির প্রবাসী রেয়াজুল হকের ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের কামিনী মজুমদারের ছেলে তাপস মজুমদার ওই ছাত্রকে বেত্রাঘাত করেন। পরে ছাত্রের চিৎকারে স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারী ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফেনীতে রেফার করেন। একপর্যায়ে মাহেদুল হাসানকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হয়। কয়েকদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

আহত মাহেদুল হাসানের বাবা রেয়াজুল হক বলেন, ‘শিক্ষক তাপস মজুমদারের বেত্রাঘাতে আমার ছেলের ডান চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। আমি ওই শিক্ষকের শাস্তি চাই।’

বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক তাপস মজুমদারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোবারক হোসেন বলেন, ওই ছেলের ডান চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম। তাকে ভারতে নিতে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে। পাসপোর্ট পেলে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করানো হবে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সালেহ উদ্দিন জানান, বেত্রাঘাতে আহত চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র মাহেদুল ইসলামের চিকিৎসা চলছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, চিকিৎসার পর বিষয়টি নিয়ে আমরা বসবো।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইস্কান্দর নুরী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা জানান, বিষয়টি জানা নেই। তিনি খোঁজ নেবেন।

এ বিষয়ে ফেনী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ছাত্রকে বেত্রাঘাত করার নিয়ম নেই। তিনি বিষয়টির খোঁজ নেবেন।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসআর/এমএস

Read Entire Article