বেনাপোল আইসিপি দিয়ে ফেরত এসেছে রুমা ও শিশুপুত্র মিকাইল

ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে আটক নারী রুমা বেগম (২৯) ও তার শিশুপুত্র মিকাইলকে বেনাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) দিয়ে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদেরকে দু’দেশ (ভারত-বাংলাদেশ) সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বনগাঁ থানার পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ফেরত আসা নারী রুমা বেগম খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার গাজীপুর গ্রামের শের আলী মোল্লার মেয়ে ও তার তিন বছর বয়সী শিশু মোঃ মিকাইল খলিল শেখ। দেশে ফিরে রুমা বেগম জানান, ২০২২ সালের ১২ জুলাই তিনি মেডিকেল ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেন। এসময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। পরে সেখানে সন্তান প্রসব করায় বসবাস করতে শুরু করেন। গত ৬মাস পূর্বে তিনি মুম্বাই পুুলিশের হাতে আটক হন। দীর্ঘদিন তিনি মুম্বাইয়ের একটি সেইফ হোমে অবস্থান করেন। সেখানে থাকার সময় তিনি হস্তশিল্পের কাজ করতেন । ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করার দায়ে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। পরবর্তীতে দুই দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শে

বেনাপোল আইসিপি দিয়ে ফেরত এসেছে রুমা ও শিশুপুত্র মিকাইল

ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে আটক নারী রুমা বেগম (২৯) ও তার শিশুপুত্র মিকাইলকে বেনাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) দিয়ে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদেরকে দু’দেশ (ভারত-বাংলাদেশ) সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বনগাঁ থানার পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসা নারী রুমা বেগম খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার গাজীপুর গ্রামের শের আলী মোল্লার মেয়ে ও তার তিন বছর বয়সী শিশু মোঃ মিকাইল খলিল শেখ।

দেশে ফিরে রুমা বেগম জানান, ২০২২ সালের ১২ জুলাই তিনি মেডিকেল ভিসায় ভারতে প্রবেশ করেন। এসময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। পরে সেখানে সন্তান প্রসব করায় বসবাস করতে শুরু করেন। গত ৬মাস পূর্বে তিনি মুম্বাই পুুলিশের হাতে আটক হন। দীর্ঘদিন তিনি মুম্বাইয়ের একটি সেইফ হোমে অবস্থান করেন। সেখানে থাকার সময় তিনি হস্তশিল্পের কাজ করতেন ।

ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করার দায়ে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। পরবর্তীতে দুই দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। কাগজপত্র যাচাই শেষে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করে।

পোর্ট থানা সূত্র জানায়, প্রাথমিক আইনগত কার্যক্রম শেষে রুমা বেগম ও শিশুটিকে যশোরের ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার যশোরের ফিল্ড ফেসিলেটেটর মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে ফেরত আসাদের গ্রহণ পূর্বক তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow