বেশিরভাগ ব্যাংকে সাইবার সিকিউরিটি নেই, জনগণের তথ্য অনিরাপদ

3 weeks ago 22

দেশের বেশিরভাগ ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটির রেটিং সন্তোষজনক নয়। ফলে এসব ব্যাংকে থাকা জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ডাটা (তথ্য) অনিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

তিনি বলেন, দেশের হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংকের সাইবার স্পেস রেটিং কিছুটা সন্তোষজনক। বাকি ব্যাংকগুলোতে জনগণের তথ্য অনিরাপদ। অনেক ক্ষেত্রে তা উন্মুক্ত থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা সাইবার অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এতে গ্রাহকদের সুরক্ষা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত ‘সাইবার সিকিউরিটি ইন ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর অব বাংলাদেশ: সিকিউরিং দ্য ডিজিটাল ফিউচার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ও এজ প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আর্থিক অপরাধ, জুয়া, সফটওয়্যার আপডেটের ঘাটতি, ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকলের দুর্বলতা, ডিডস আক্রমণ এবং ডাটা সেন্টারের ঝুঁকি এখন ব্যাংকিং সেক্টরের বড় হুমকি।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে প্রশিক্ষণ জোরদার এবং আইটি ও ব্যবসায়িক ইউনিটের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এ সময় ব্যাংকের সঙ্গে ডাটা বিনিময়ের মাধ্যমে কর আদায় সহজ করার প্রস্তাব করেন।

অনুষ্ঠানে সিআইডির প্রধান ম. ছিবগাত উল্লাহ জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৮৮৪টি সাইবার অপরাধের অভিযোগ এসেছে। ব্যাংকগুলোর মামলা করতে অনীহা তদন্তে বাধা তৈরি করছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা প্রযুক্তিগত জটিলতা সমাধানে করণীয় বিষয়ে মতামত দেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু ডিজিটাল ভবিষ্যৎ সুরক্ষাই নয়, বরং জনগণের আস্থা ও আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সেমিনারে বক্তারা মতামত দেন। সেমিনারে আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

এএএইচ/এএমএ

Read Entire Article