সাতক্ষীরায় উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে আটটি গ্রামের প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা জমির ৫০০ শতাধিক চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে।
এতে চাষিদের প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ। তবে মৎস্য চাষিদের দাবি ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ।
আশাশুনির বিছট এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে ঘেরগুলো প্লাবিত হয়।
একই সঙ্গে ২০ হেক্টর জমির বোরো ধান ও প্রায় দেড় হেক্টর জমির সবজি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্লাবিত এলাকার প্রায় ৬০০ ঘরবাড়ি।
এদিকে বেড়িবাঁধ ভাঙনের পর আধুনিক জিও টিউব দিয়ে একটি বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ফলে খোলপেটুয়া নদীর লোনা পানি আর লোকালয়ে ঢুকতে পারেনি। এতে করে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে প্লাবিত এলাকার মানুষ। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানান।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী জানান, বিছট গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙে আনুলিয়া ইউনিয়নের আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মৎস্য ও কৃষি বিভাগের দেওয়া প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, এসব এলাকার প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা জমির আয়তনের পাঁচশতাধিক চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়। এতে চাষিদের প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একই সঙ্গে ২০ হেক্টর জমির বোরো ধান ও প্রায় দেড় হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্লাবিত এলাকার প্রায় ৬০০ ঘরবাড়ি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি গিয়ে তালিকা তৈরি হচ্ছে।
এদিকে দুর্গতদের সহায়তায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
৩১ মার্চ সকালে পাউবো বিভাগ-২ এর আওতাধীন ৭/২ পোল্ডারের আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে প্রায় দেড়শ ফুট এলাকা জুড়ে বেড়িবাঁধ খোলপেটুয়া নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে করে প্লাবিত হয়ে পড়ে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট, বল্লভপুর, আনুলিয়া, নয়াখালী, চেঁচুয়া ও কাকবসিয়া গ্রাম। এরমধ্যে নয়াখালী গ্রাম সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়।
আহসানুর রহমান রাজীব/জেডএইচ/এমএস