বৈদ্যুতিক খুঁটি মাঝে রেখেই বাড়ানো হচ্ছে সড়ক

কুষ্টিয়ার খোকসায় সড়কের মাঝেই বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। এছাড়া একটি খালের সুইচগেটসহ একাধিক বস্ক কালভার্টের গাইড ওয়াল ঢেকে দিয়ে রাস্তা করায় পথচারীদের কাছে বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে সড়কটি। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জানিপুর ও বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে সদরে যাতায়াত করেন। কিন্তু ১১ কিলোমিটার ৫৩৫ মিটার সড়কে খানা-খন্দ থাকায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আর সি আই পি প্রকল্পের অধীন ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা মেরামতের টেন্ডার হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদাস কার্যাদেশ পাওয়ার পর কমলাপুর-একতারপুর জিসি রোড, বহরমপুর-বনগ্রাম ভায়া কাতলাগাড়ি ঘাট ও চাঁদট-বনগ্রাম বাজার পর্যন্ত রাস্তা পাকা করনের কাজ শুরু করে। রাস্তার সিংহ ভাগ অংশে তিন ফুট চওড়া ও দুই ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। ফলে এ রাস্তায় চলাচলকারীরা ভোগান্তিতে পরে। ইতোমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অপরিকল্পিতভাবে এসব রাস্তার মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করে। সম্প্রতি নির্মাণ করা লাইনের প্রায় ১১৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রাস্তার তিন ফুট ভিতরে চলে যায়। ঠিকাদারি প্রতি

বৈদ্যুতিক খুঁটি মাঝে রেখেই বাড়ানো হচ্ছে সড়ক

কুষ্টিয়ার খোকসায় সড়কের মাঝেই বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। এছাড়া একটি খালের সুইচগেটসহ একাধিক বস্ক কালভার্টের গাইড ওয়াল ঢেকে দিয়ে রাস্তা করায় পথচারীদের কাছে বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে সড়কটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জানিপুর ও বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে সদরে যাতায়াত করেন। কিন্তু ১১ কিলোমিটার ৫৩৫ মিটার সড়কে খানা-খন্দ থাকায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে আর সি আই পি প্রকল্পের অধীন ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা মেরামতের টেন্ডার হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদাস কার্যাদেশ পাওয়ার পর কমলাপুর-একতারপুর জিসি রোড, বহরমপুর-বনগ্রাম ভায়া কাতলাগাড়ি ঘাট ও চাঁদট-বনগ্রাম বাজার পর্যন্ত রাস্তা পাকা করনের কাজ শুরু করে। রাস্তার সিংহ ভাগ অংশে তিন ফুট চওড়া ও দুই ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। ফলে এ রাস্তায় চলাচলকারীরা ভোগান্তিতে পরে। ইতোমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অপরিকল্পিতভাবে এসব রাস্তার মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করে। সম্প্রতি নির্মাণ করা লাইনের প্রায় ১১৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি রাস্তার তিন ফুট ভিতরে চলে যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তার ভিতর বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে রাস্তা পাকা করার কাজ শুরু করে।

এ ছাড়া চাঁদট খালের উৎস মুখের সুইচ গেটসহ একাধিক বস্ক কালভার্টের গাইড ওয়াল থেকে এক দেড় ফুট উঁচু করে রাস্তা সংস্কার কাজ করে। তবে গ্রামবাসীরা এভাবে রাস্তা তৈরিতে বাঁধা দেয়। কিন্তু বাঁধা উপেক্ষা করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বহরম পুর-বনগ্রাম ভায়া কাতলাগারি ঘাট ও চাঁদট-বনগ্রাম বাজার পর্যন্ত রাস্তার ম্যাকাড্রামের কাজ শেষ করেছে। এ কাজের মান নিয়েও এলাকাবাসীদের অভিযোগ রয়েছে। এখন বাকি শুধু কার্পেটিং করা।

বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল উদ্দিন বলেন, রাস্তার ৩-৪ ফুট ভিতরে পল্লী বিদ্যুতের অসংখ্য খুঁটি রেখে কাজ করা হয়েছে। খুঁটি সরানোর বিষয়ে ঠিকাদারকে জানানো হয়েছে, কিন্তু তারা রাস্তার ভিতরে বিদ্যুতের খুঁটি রেখে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু স্থানে রাস্তা উঁচু করায় সুইচ গেটসহ একাধিক বস্ক কালভার্টের অস্তিত্ব বোঝা যাচ্ছে না। ফলে অন্য গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ার বৃদ্ধ তোফাজ্জেল হোসেন জানান, পাকা রাস্তার ভিতরে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে কাজ করার সময় তারা বাঁধা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান মেম্বরদের কথা কেউ শোনে না। খুঁটি রেখেই রাস্তা করা হয়েছে। খুঁটির কারণে ফসলের গাড়ি বাড়িতে নিতে সমস্যা হচ্ছে। অটোভ্যান চলাচলেও সমস্যা হয়। খালের সুইগেটের পাশের ওয়াল রাস্তার মাটির নিচে চলে গেছে। খাল আছে বোঝা যাচ্ছে না। কেউ ভুল করলেই প্রায় ২০/২৫ হাত গভীর খালের নিচে গিয়ে পড়ে যাবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদাসের প্রতিনিধি আব্দুল হালিমের মোবাইলফোনে কল দিলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

এলজিউডির কার্যসহকারী সাইদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার ভেতর থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটি তোলার জন্য উপর মহলে আলোচনা চলছে।

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রাজু আহমেদ জানান, রাস্তার মাঝখান থেকে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কথা চলছে। তবে খালের সুইচ গেট ও বস্ক কালভার্টের গাইড ওয়াল সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। মানুষের প্রাণহানী করে এমন কাজ করা ঠিক হবে না। ভিজিট করে ব্যবস্থা নেয়ো হবে।

আল-মামুন সাগর/এনএইচআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow