ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অতন্ত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন- মেহেদী হাসান শিমুল, আল আমিনসহ অতন্ত ২০ জন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, বিকেলে কলেজ কর্তৃপক্ষের মিটিং ছিল। এসময় ছাত্রলীগ সমর্থিত কিছু ছেলে এসে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আশিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা এলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানায়, প্রতিবছর হলের সিট বাবাদ সাত হাজার টাকা দেওয়া হত। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছিল। সম্প্রতি কলেজ কর্তৃপক্ষ ৫০০ টাকা কমিয়েছে। এনিয়ে শিক্ষার্থীরা আবারও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আমান উল্লাহ বলেন, হলের সিট নবায়ন ইস্যুতে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. আশিকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, অহেতুক আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এতে আমাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষার্থীরা ছিল। তারা হট্টোগোল শুরু করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক আশিকুর রহমান আশিকসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে যায়। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অতন্ত ২০ জন আহত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এএইচ/জেআইএম