২৪ ঘণ্টা আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সাথে বসেছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বিসিবি সভাপতির ডাকা সেই ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ারে’ আর সবার সাথে ছিলেন তিনিও । ‘সিনিয়র’ তকমা গায়ে থাকা একমাত্র ক্রিকেটারই ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
বোর্ড প্রধান, বোর্ড পরিচালক, ক্রিকেটের শীর্ষ কর্মকর্তা আর কোচিং ও সাপোর্টিং স্টাফদের সাথে ক্রিকেটারদের এমন সম্মিলন, চায়ের আড্ডাটা তার কেমন লাগলো? তিনি কতটা উপভোগ করেছেন সেই শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার?
মুশফিকুর রহিমের সোজা সাপ্টা উচ্চারণ, ‘কথা তো অনেক কিছুই হয়েছে। খুবই ভালো উদ্যোগ।’ এটুকু বলে আরও একটা পয়েন্ট যোগ করেছেন। যা হয়তো অনেকের মুখেই আসেনি গত ২৪ ঘণ্টায়। অনেকের কথা-বার্তা শুনে মনে হয়েছে যে, আগে কোনোভাবেই বোর্ড কর্তাদের সাথে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কথা-বার্তা হয়নি। হয়েছে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে মুশফিকুর রহিম একটি তাৎপর্য্যপূর্ণ কথা বলেছেন।
তার কথা, ‘এর আগেও যে ক্রিকেটার ও বোর্ড কর্মকর্তাদের এমন অন্তরঙ্গ পরিবেশে কথা-বার্তা হয়নি, তা নয়। তবে এরকম ফ্রিকুয়েন্টলি অনেক সময় হয় নাই। যেগুলো ভালো কথা হয়েছে, কি কি ইনফ্রাস্ট্রাকচার আরও বৃদ্ধি করতে হবে। প্লেয়ারদের দিক থেকে, অফিশিয়ালসের দিক থেকে, বোর্ড ডিরেক্টর যারা আছে; তাদের দিক থেকে। সেগুলো কথা হয়েছে।’
মুশফিকের অনুভব ও উপলব্ধি হলো কথা-বার্তা অনেক ভাল হয়েছে। জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক চান যে সব কথা-বার্তা হয়েছে এবং যে সিদ্ধান্তগুলো এসেছে, সেগুলোর সঠিক ও যথাযথ বাস্তবায়ন।
তাই মুখে এমন কথা, `আলোচনা পর্বের যথাযথ বাস্তবায়ন হওয়া দরকার। আমরা আশা করি ইমপ্লিমেন্টেশন হবে। যতদিন না হবে, বৈঠক বলেন বা মিটিং বলেন, এগুলো আসলে কোন কার্যকর ফল বয়ে আনবে না।’
তার নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার প্রায় শেষের পথে। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটে মানে সাদা বল থেকে সরে দাঁড়িয়ে এখন শুধু টেস্ট খেলছেন মুশফিক।
তাই তার নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সব সময়ের অন্যতম পরিশ্রমী ও সফল উইলোবাজ বলেন, ‘আমার তো ধরেন ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ দিকে, আশা করবো এরকম যেন পরিবেশ করে দিতে পারি, পরের প্রজন্মের জন্য। তারা যেন ফ্রিক্যুয়েন্টলি সব জায়গায় গিয়ে খেলতে পারে ওরকম মাঠ করে দিয়ে যেতে পারি, অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা করতে পারি। কারণ বিশ্ব ক্রিকেট যতদূর এগিয়ে গেছে, বাংলাদেশ তাদের থেকে অনেক পিছিয়ে। এদিক থেকে যদি আমরা সেই সাপোর্টটা দিতে পারি, তাহলে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।’
জাতীয় লিগে খেলার ইচ্ছে আছে যদি কোনো দল নেয়। শারিরীক ও মানসিকভাবে সবদিক দিয়ে চেষ্টা করছি, এখন দেখা যাক। তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে ন্যাশনাল প্যারা অলিম্পিক আয়োজিত দু’দিনব্যাপি ট্রায়াল ও সিলেকশন ক্যাম্প এর দ্বিতীয় দিনে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটারদের উৎসাহ জোগাতে বসুন্ধরা কমপ্লেক্সে গিয়ে মিডিয়ার সামনে ওপরের কথা গুলো বলেন মুশফিকুর রহিম।
এআরবি/আইএইচএস