সবার আগে দল- গৌতম গম্ভীরের সারাজীবনের মন্ত্রই ছিল এমন। এ নিয়ে অনেকদিন লড়াইও করেছেন। সব আলো একজনের কেড়ে নেওয়ার বিপক্ষে বলে গেছেন সবসময়। এখন খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি ঘটেছে। আইপিএলে সাফল্য পাওয়ার পর আছেন ভারতীয় হেড কোচ হওয়ার দৌড়ে।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর হেড কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন রাহুল দ্রাবিড়। তার উত্তরসূরি ইতোমধ্যেই খোঁজা শুরু করেছে বিসিসিআই। এই দৌড়ে জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে গৌতম গম্ভীরের নাম। তিনি নাকি দিয়েছেন সাক্ষাৎকারও।
সত্যিই হেড কোচ হচ্ছেন কি না জানতে চাইলে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি এত দূরের বিষয় নিয়ে ভাবি না। একটার পর একটা কঠিন প্রশ্ন করে আমাকে ছিড়ে খাওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে এর উত্তর দেওয়া কঠিন। সবে আমরা আইপিএল জিতেছি। সেই জয়টা উপভোগ করতে দিন। যা হওয়ার ভবিষ্যতে হবে। আপাতত আমি যথেষ্ট ফুরফুরে মেজাজে আছি।’
এবারের বিশ্বকাপের পরপরই দায়িত্ব বুঝে পাবেন না গম্ভীর। শোনা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে হেড কোচ থাকতে পারেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। তবে যখনই দায়িত্ব নেন, দলের ব্যাপারে কড়া এক বার্তাই হাজির করেছেন গম্ভীর। জানিয়েছেন, তার কাছে সবাই সমান।
তিনি বলেন, ‘আমি যে দলে খেলেছি এবং যেখানে কাজ করেছি, একটাই নীতি ধরে চলেছি। দলগত খেলায় ব্যক্তিগত সাফল্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে সেটাই শেষ কথা নয়। প্রতিষ্ঠানের থেকে কেউ বড় নয়। দলই শেষ কথা। যেই পারফর্ম করুক না কেন, দলের ১১ জন সমান ব্যবহার, ট্রিটমেন্ট, সম্মান পাবে। তবেই সাফল্য আসে। দলে ২-৩ জনের ওপর ফোকাস করা হলে, বাকিদের কেমন লাগবে?’
‘কারো সঙ্গে কোনও পার্থক্য করা উচিত নয়। দলের মধ্যে এই মন্ত্র বা দর্শন আনতে হবে। আমার দলে কোনও ব্যক্তি পূজা বা তারকা পূজা চলবে না। একজন পার্থক্য গড়ে দিতে পারে, তবে সেই শেষ কথা নয়। আমি ব্যক্তি পূজা বুঝি না।’
আইএইচএস/এমএস