ব্যবসায়ীদের স্বার্থেই ড্যাপ সংশোধন, সংকটে ঢাকার বাসযোগ্যতা : আইপিডি

1 month ago 14

ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) যেসব সংশোধনীর প্রস্তাব রাজউক প্রকাশ করেছে, সেখানে শহরের বাসযোগ্যতা, ধারণক্ষমতা, নাগরিক সুবিধা, পরিবেশ প্রাধান্য পায়নি বলে মন্তব্য এসেছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) আলোচনা সভায়।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ‘কোন স্বার্থে ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) এর বারবার সংশোধনের উদ্যোগ: আইপিডির পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এই মন্তব্য আসে।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইপিডির পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান। আলোচক হিসেবে অংশ নেন আইপিডির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফরহাদুর রেজা, পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. আফসানা হক, পরিকল্পনাবিদ রাকিবুল রনি, পরিকল্পনাবিদ সাজিদ ইকবাল, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ফাহিম আহম্মেদ মন্ডল। 

অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘ড্যাপ সংশোধনে রাজউকের সংশোধনীতে ভবনের আকার-উচ্চতা বাড়ানোর প্রস্তাবনা ছাড়া অন্য কিছু আসেনি। বন্যা প্রবাহ এলাকা, জলাভূমি, কৃষিজমি রক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকেছে। আমরা বলে এসেছিলাম, আবাসন ব্যবসায়ী ও কিছুসংখ্যক পেশাজীবীরা ড্যাপ বাতিল বা স্থগিতের আবেদন করছে শুধুমাত্র ভবন নির্মাণে বেশি ফ্লোর এরিয়া রেশিওর (ফার) মান বাড়ানোর জন্য। আমাদের সেই শঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ড্যাপ সংশোধনে প্রস্তাবিত এরিয়া ফার ও ব্লকভিত্তিক ফার মান নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাসযোগ্য শহর নির্মাণে পরিকল্পনার ব্যাকরণ অনুসরণ করা হয়নি। ফলে ড্যাপে প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো ঢাকা শহরের বাসযোগ্যতাকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। 

প্রবন্ধ উপস্থাপনায় তিনি বলেন, চূড়ান্ত ড্যাপে ঢাকার অপরিকল্পিত এলাকা জিনিজিরার জনঘনত্ব একর প্রতি ১৫০ জন দেওয়া থাকলেও ১৮ নভেম্বর রাজউক প্রস্তাবিত সংশোধনীতে একর প্রতি প্রায় ৩৫০ জন প্রস্তাব করা হয়েছে। এই এলাকার আগে প্রস্তাবিত ফ্লোর এরিয়া রেশিওর (ফার) মান ১ দশমিক ৩ থেকে বৃদ্ধি করে প্রস্তাব করা হয়েছে ৩ দশমিক ৩। ব্লক ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক ফার বোনাস সাধারণত ১৫-২০ শতাংশ হয়ে থাকে। অথচ রাজউক এলাকাভিত্তিক ফার মানের তুলনায় ব্লকভিত্তিক ফার মান ৯০-১২০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রস্তাব করেছে, যা বৈশ্বিক পরিকল্পনা কৌশলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

আদিল মুহাম্মদ বলেন, ‘এভাবে অনেক এলাকারই ফার মান অযাচিতভাবে বেড়েছে। ফলে এসব এলাকার বাসযোগ্যতা আরও সংকটে পড়বে বলে মনে করে আইপিডি।’

Read Entire Article