ব্যস্ত সময় কাটছে কামারদের

3 months ago 30

ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধা কামারদের ব্যস্ততা বাড়ছে। টুংটাং শব্দে মুখর হয়ে উঠছে চারপাশ। বেড়েছে দা-বটি-ছুরি, কুড়াল ধার বা শান দেওয়ার ব্যস্ততাও।

শহর-গ্রামের হাটবাজারগুলোতে ছড়িয়ে থাকা কামারের দোকানে গ্রাহকের আনাগোনা বেড়েছে। দা, বটি, ছুরি, ধামাই শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। দোকানের সামনে বিক্রির জন্য সাজিয়ে রেখেছেন নতুন দা, ছুরি, বটি। মানভেদে নতুন দা ২৫০-৪০০ টাকায়, ছুরি ১২০-২০০ টাকায়, বটি ৩৫০-৬০০ টাকায়, জবাই ছুরি ২৫০-৫০০ টাকায় এবং ধামা ৪০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শহরের সার্কুলার রোডের কামারশালার মালিক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গ্রাহকের অর্ডার সামাল দিতে বাড়তি কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছি। কোরবানির আয়ে আমাদের সারাবছর চলতে হয় বিধায় গ্রাহকের চাপ সামাল দিতে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ইতোমধ্যে বেশকিছু গ্রাহক দা, বটি, ছুরি বানানোর অর্ডার দিয়ে গেছেন। শান দিতে অর্ডার পেয়েছি অনেক।

ব্যস্ত সময় কাটছে কামারদের

জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ক্রেতা বলেন, গরুর বাজারে গিয়েছিলাম। এখনো গরু কেনা হয়নি। এ ফাঁকে কোরবানির জন্য বাসায় থাকা দা, ছুরি ও বটিগুলো শান দিতে নিয়ে এলাম। দা শান করাতে ২০ টাকা, ছুরি ১৫ টাকা ও বটি ৩০ টাকা করে নিচ্ছে কামাররা।

কামারবাড়ি ছাড়াও অনেকেই পাড়া-মহল্লায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মোটরচালিত মেশিনে শান দেওয়ার কাজ করছেন। যারা এখন পর্যন্ত কামারবাড়ি গিয়ে দা-বটি শান দেননি, তারা এসব ভ্রাম্যমাণ শান কারিগরদের দিয়ে বাড়িতে বসেই দেশিয় অস্ত্রে শান দিয়ে নিচ্ছেন।

ভ্রাম্যমাণ শান কারিগরদের কাছ থেকে জানা যায়, পেশায় কৃষিজীবী হলেও প্রতি বছর ঈদে বাড়তি আয়ের জন্য তারা এ শান দেয়ার কাজ করেন। দা-বটি, চাপাতি, ছুরি শান করতে এগুলোর আকার ভেদে দাম নির্ধারণ করা হয়।

আরএইচ/এএসএম

Read Entire Article