মৃত্যুর আগে জল্লাদ শাহজাহান হেমায়েতপুরের একটি বাসার ৬ তলায় ব্যাচেলর হিসেবে থাকতেন বলে জানিয়েছেন ওই বাড়ির মালিক আবুল কাশেম।
বাড়িওয়ালা আবুল কাশেম আরও বলেন, মৃত্যুর আগে তার বাসার ছোট একটি রুমে মাসিক ২০০০ টাকা ভাড়া হিসেবে ১৫ দিনের জন্যে ভাড়া নেন। চলতি মাসের (জুন) ১০ তারিখ থেকে ১৫ দিনের জন্য ভাড়া নেন তিনি।
‘আজ ভোর ৩টা ৩০ মিনিটে অসুস্থ হলে অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা আমাকে জানান। তাদের সহযোগিতায় আমার নিজস্ব গাড়িতে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আসি। সব প্রস্তুতি শেষে করে ৪টার দিকে বের হলে হাসপাতালে প্রায় সাড়ে ৪টায় পৌঁছায় এবং জরুরি বিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। চিকিৎসা শেষে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তারা জানান, লাশ নিতে নিকটতম পরিবার প্রয়োজন। তখন শাহজাহানের আত্মীয়ের পরিচয় না থাকলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে পরিবারের লোক হাসপাতালে নিয়ে আসি।
মৃত্যুর পর হাসপাতালে তার পরিবার থেকে শুধু বোন উপস্থিত হয়েছেন।
- আরও পড়ুন
মারা গেছেন ‘জল্লাদ’ শাহজাহান
৩২ বছর পর কারাগারের বাইরে ঈদের নামাজ পড়বো, ইচ্ছা আছে হজে যাওয়ার
পাশে ছিল না কোনো স্বজন, জল্লাদ শাহজাহানকে হাসপাতালে নেন বাড়িওয়ালা
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের এসআই মশিউল আজম ভূঁইয়া বলেন, ডাক্তারের মতে মৃত্যুর বিষয় অজানা। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত্যুর সময় সকাল ৫টা ৩০ মিনিট নিশ্চিত করেছেন। তার বোন বলেছেন, পূর্বে শ্বাসকষ্ট ছিল এবং এ বিষয়ে কোনো মতামত নেই। তবে ময়নাতদন্ত হবে।
সুরতহাল শেষে তিনি আরও বলেন, তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে মলদ্বারে কিছু মল পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
তাসনিম আহমেদ তানিম/এমএইচআর/জেআইএম