ব্যাটারিচালিত ‘শক মেশিন’ দিয়ে মাছ শিকার

3 hours ago 3
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে কৃত্রিম গ্যাস তৈরি করে ও ব্যাটারিচালিত ‘বৈদ্যুতিক শক’ দিয়ে রাতের আঁধারে মাছ শিকার করার অভিযোগ উঠেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। এভাবে মাছ শিকারের ফলে দিন দিন নদীতে মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ জেলেরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি, কোদালধুয়া, কাঁসারীডোবা, শীলদহ গ্রাম সংলগ্ন যমুনা নদীর বেশকিছু শাখা নদীতে রাতের আঁধারে কিছু অসাধু জেলে কৃত্রিমভাবে গ্যাস তৈরির মাধ্যমে ও বৈদ্যুতিক ‘শক মেশিন’ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছেন। নদীর পাড়ের স্থানীয়রা জানান, নদীতে মাছ শিকারে বাড়ছে কারেন্ট জাল, রিং জাল, চায়না চাই ব্যবহারের কারণে। এ কারণে নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ মিলছে না। এদিকে নতুন করে যোগ হয়েছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে গ্যাস তৈরির মেশিন ও বৈদ্যুতিক ‘শক মেশিন’। এটির ফলে মাছ শিকার করায় পোনা, ডিমসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীও মারা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় মাছের জন্য হাহাকার দেখা দেবে বলে মনে করছেন তারা। গুঠাইল পাইলিং পারে স্থানীয় জেলে মল্লিকচন্দ্র বলেন, আগে নদীতে জাল ফেললেই মাছ পেতাম। এখন সারাদিন বসে থেকেও মাছের দেখা পাই না। আর যা পাই তা দিয়ে সংসার চলে না। একে তো কারেন্ট জাল আর চায়না চাই দিয়ে ব্যাপক আকারে মাছ ধরে আগেই মাছের বংশ শেষ করে ফেলছে। এখন আবার যোগ হয়েছে গ্যাস দিয়ে  কৃত্রিম উপায়ে  ও বৈদ্যুতিক মেশিনের ব্যবহারে। এভাবে মাছ শিকার করলে মনে হয় নদীতে তারা আর কোনো মাছই রাখবে না। চর মন্নিয়া গ্রামের জেলে সদাগর বলেন, নদীতে আগের তুলনায় মাছ পাওয়া যায় না। জেলেরা সারাদিন জাল নিয়ে বসে থাকেন। সারাদিনে ৪০০/৫০০ টাকার মাছও পান না। মেশিন দিয়েও ছোট বড় মাছগুলো মেরে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে মাছের অভাব দেখা দিয়েছে। সারাদিনে ২০০/৩০০ টাকার মাছ পাই না। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে  অনাহারে দিন কাটাতে হবে। এ বিষয়ে ইসলামপুর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন কালবেলাকে বলেন, নদীতে এ ধরনের বৈদ্যুতিক ‘শক মেশিন’ দিয়ে এভাবে মাছ শিকার করা হচ্ছে বলে আমার কাছে কোনো অভিযোগ বা তথ্য নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Read Entire Article