ব্যানারে শহিদ জিয়ার নাম না থাকায় ইবি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্জন
ব্যানারে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম না রাখা এবং হল ফিস্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা বয়কট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বর্জন করে সংগঠনটি। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে দুই পর্বে অনুষ্ঠান আয়োজন করে ইবি কর্তৃপক্ষ। প্রথম পর্বের আনন্দ র্যালি, জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, কেক কাটা এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে অংশ নেয় শাখা ছাত্রদল। তবে আয়োজনের আলোচনার সভায় শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ না করা, জিয়া হলে আলোকসজ্জা না রাখা এবং হল ফিস্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না রাখার অভিযোগে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বÑবীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বয়কট করে সংগঠনটি । ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও দুর্বল আয়োজন করেছে। দিবস উপলক্ষে প্রতিটি হলে ফিস্ট ও সাংস্কৃতিক
ব্যানারে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম না রাখা এবং হল ফিস্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা বয়কট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বর্জন করে সংগঠনটি।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে দুই পর্বে অনুষ্ঠান আয়োজন করে ইবি কর্তৃপক্ষ। প্রথম পর্বের আনন্দ র্যালি, জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, কেক কাটা এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে অংশ নেয় শাখা ছাত্রদল। তবে আয়োজনের আলোচনার সভায় শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম উল্লেখ না করা, জিয়া হলে আলোকসজ্জা না রাখা এবং হল ফিস্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না রাখার অভিযোগে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বÑবীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বয়কট করে সংগঠনটি ।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এবছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও দুর্বল আয়োজন করেছে। দিবস উপলক্ষে প্রতিটি হলে ফিস্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন সেই দাবিকে অগ্রাহ্য করেছে। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চিত্র উপস্থাপন না করে প্রশাসন ইরানি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি জিয়াউর রহমানের নামে থাকা হলটিও যথাযথভাবে সজ্জিত করা হয়নি। এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রশাসন অর্থ সংকটের অজুহাত দেখাচ্ছে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, “আমরা হলে ফিস্টের আয়োজন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু প্রশাসন তা অগ্রাহ্য করেছে। তারা মূলত ২০ মিনিটের কর্মসূচি করতে চেয়েছিল। হয়তো আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানটি কিছুটা বড় করা হয়েছে। ইরানি চলচ্চিত্র বাদ দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের নিয়ে প্রমাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করতে পারত। প্রশাসন তাদের মতো অনুষ্ঠান করেছে এবং আমাদের নামমাত্র ডেকেছে। তারা শিক্ষার্থীদের আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম ও ছবি কোথাও দেওয়া হয়নি। প্রশাসন একটি কেক কেটেছে, তবে সেটিও ‘লুট উৎসব’ মনে হয়েছে। আমরা প্রশাসনের এমন আয়োজনের নিন্দা জানাচ্ছি এবং অনুষ্ঠান প্রত্যাখ্যান করছি। প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামের হল ও খালেদা জিয়া হলে কোনো সাজসজ্জা করা হয়নি। প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে এবং অর্থ সংকটকে অজুহাত দেখাচ্ছে। প্রশাসনের অবহেলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে।”
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলীনুর রহমান বলেন, “অনুষ্ঠানে কিছু ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। তবে সীমিত বাজেটের কারণে সব আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। আগামীতে আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে, ইনশাআল্লাহ।”
What's Your Reaction?