ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবারকল্যাণের কর্মীদের কর্মবিরতি ও অবস্হান কর্মসূচি

দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবারকল্যাণের কর্মীরা কর্মবিরতি ও অবস্হান কর্মসূচি পালন করছে। মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্টিত হয়। মঙ্গলবার (২ডিসেম্বর) থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবারকল্যাণ সহকারীদের আহবানে এই পূর্ণ কর্মবিরতি চলবে। জানা যায়, এক দফা এক দাবি প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধি ২০২৪ অতি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১০ দিনব্যাপী পূর্ণ কর্মবিরতি বাংলাদেশ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা এসোসিয়েশন, সহকারী সমিতি ও পরিদর্শক সমিতি পালন করছে। কর্মবিরতির ফলে পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ বর্জনসহ ইউনিয়ন স্বস্হ্য কেন্দ্র সেবা ব্যহত হচ্ছে। আগামী ১০ দিন এই পূর্ণ কর্মবিরতি চলবে। পরিবারকল্যাণ সহকারী রুনা লায়লা বলেন, আমরা পরিবার কল্যাণ সহকারী রাজস্ব খাতভুক্ত কর্মচারী। দীর্ঘ ২৬ বছর যাবত আমাদের কোন নিয়োগ বিধি নাই। নিয়োগ বিধি না থাকার কারণে আমরা পদোন্নতি ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমরা রাজস্বভুক্ত কর্মচারী হয়েও ১৭তম গ্রেডে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মা ও শিশুদের সকল স্

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবারকল্যাণের কর্মীদের কর্মবিরতি ও অবস্হান কর্মসূচি

দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবারকল্যাণের কর্মীরা কর্মবিরতি ও অবস্হান কর্মসূচি পালন করছে। মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্টিত হয়। মঙ্গলবার (২ডিসেম্বর) থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকা, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবারকল্যাণ সহকারীদের আহবানে এই পূর্ণ কর্মবিরতি চলবে।

জানা যায়, এক দফা এক দাবি প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধি ২০২৪ অতি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১০ দিনব্যাপী পূর্ণ কর্মবিরতি বাংলাদেশ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা এসোসিয়েশন, সহকারী সমিতি ও পরিদর্শক সমিতি পালন করছে। কর্মবিরতির ফলে পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ বর্জনসহ ইউনিয়ন স্বস্হ্য কেন্দ্র সেবা ব্যহত হচ্ছে। আগামী ১০ দিন এই পূর্ণ কর্মবিরতি চলবে।

পরিবারকল্যাণ সহকারী রুনা লায়লা বলেন, আমরা পরিবার কল্যাণ সহকারী রাজস্ব খাতভুক্ত কর্মচারী। দীর্ঘ ২৬ বছর যাবত আমাদের কোন নিয়োগ বিধি নাই। নিয়োগ বিধি না থাকার কারণে আমরা পদোন্নতি ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আমরা রাজস্বভুক্ত কর্মচারী হয়েও ১৭তম গ্রেডে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মা ও শিশুদের সকল স্বাস্হ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনার সেবা দিয়ে থাকি। পাশাপাশি আমরা সরকারি বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়ন করে থাকি। আমরা তারপরও আমাদের কোন নিয়োগ বিধি নাই। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ মোতাবেক ১০ দিন আমরা পূর্ণ কর্মদিবস পালন করব। আমাদের একটাই দাবি আমাদের নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন করতে হবে।

পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন, দীর্ঘ ২৬ বছর যাবত আমরা রাজস্ব খাতভুক্ত কর্মচারী। রাজস্ব খাতভুক্ত কর্মচারী হয়েও আমাদের কোনো নিয়োগবিধি নেই। নিয়োগবিধি না থাকার কারণে অধিদপ্তরে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ হচ্ছে। নিয়োগবিধি না থাকার কারণে একই পদে আমাদের চাকরি করতে হচ্ছে, যে কারণে আমাদের কোন পদোন্নতি হচ্ছে না। নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের জন্য অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তদন্তের জন্য আবার অধিদপ্তরে আসে। যেটা জনপ্রসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে পারলে আমাদের নিয়োগবিধিটা বাস্তবায়ন হয়।

তিনা আরও বলেন, আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতভুক্ত, কিন্তু নিয়োগবিধি নেই। সে জন্য আমরা বেতন গ্রেড উন্নীতকরণ, পদোন্নতিসহ চাকরিগত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ২ থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ণ কর্মবিরতি এবং স্ব-স্ব উপজেলা অফিসে অবস্থান নিয়েছি।

বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন জানান, আমরা ৩৩ হাজার ৭১০ জন সারা দেশে কর্মরত রয়েছি। বিভিন্ন পদধারীরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, শতভাগ দম্পতি নিবন্ধন এবং নিয়মতি বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছি। আমরা মা ও স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিসেবা, টিকাদান কর্মসূচিসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেবা দিচ্ছি। অথচ আমাদের চাকরি রাজস্ব খাতে থাকলেও কোনো পদন্নোতি হয়নি। একটা শ্রেণিকে সুবিধা দিয়ে আসছে বিধায় ২৬ বছর ধরে আমাদের ৩৩ হাজার কর্মীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখন এক দফা এক দাবি প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি ২০২৪ অতি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের এই দশ দিনব্যাপী পূর্ণ কর্মবিরতি চলবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow