ব্রিটেনে লেবার পার্টির নতুন ডেপুটি লিডার লুসি পাওয়েল

2 hours ago 5

ব্রিটেনের লেবার পার্টির নতুন উপনেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সেন্ট্রালের সংসদ সদস্য লুসি পাওয়েল। গত মাসে অ্যাঞ্জেলা রেইনারের পদত্যাগের পর ঘোষিত এই পদে তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রিজেট ফিলিপসনকে পরাজিত করেন।

দলীয় নির্বাচনে পাওয়েল পান ৮৭ হাজার ৪০৭ ভোট, যা প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিপসনের তুলনায় প্রায় ১৪ হাজার বেশি। ভোটগ্রহণে অংশ নেন প্রায় ১৬.৬ শতাংশ সদস্য।

ক্যাবিনেট থেকে বাদ পড়ার পর পাওয়েল নিজেকে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় পার্টির অভ্যন্তরে সাধারণ সদস্য ও স্থানীয় নেতাদের মতামত আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

বিজয়ের পর বক্তব্যে পাওয়েল বলেন, আমাদের দলকে আরও সাহসী হতে হবে। আমি লেবারের নীতি ও আদর্শকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করব, তবে একই সঙ্গে আমাদের কাজের ধরনে পরিবর্তন আনাও জরুরি।

তিনি জানান, উপনেতা হিসেবে তার প্রথম লক্ষ্য হবে এমন সব কণ্ঠকে সামনে আনা যারা মনে করেন বর্তমান সরকার যথেষ্ট সাহসী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।

রিফর্ম ইউকে পার্টির উত্থান প্রসঙ্গে পাওয়েল বলেন, আমাদের নিজেদের রাজনৈতিক বক্তব্যকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে। অন্য দলের অনুকরণ নয়, বরং জনগণের কাছে আমাদের নিজস্ব অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।

ব্রিটেনে লেবার পার্টির নতুন ডেপুটি লিডার লুসি পাওয়েল

ব্রিজেট ফিলিপসন ফল ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে বলেন, আজকের ফলাফলে আমি হতাশ হলেও লেবার পরিবারের ঐক্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগামী নির্বাচনে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

শুরুতে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমিত হয় পাওয়েল ও ফিলিপসনের মধ্যে। শুরুতে ফিলিপসন এমপি ও ইউনিয়ন মহলে অগ্রগামী ছিলেন, তবে পরবর্তীতে তৃণমূল পর্যায়ের সমর্থন পাওয়েলের পক্ষে গড়ে ওঠে।

নির্বাচনী প্রচারণায় পাওয়েল সরকারের সাম্প্রতিক কিছু নীতির সমালোচনা করেন, বিশেষ করে কল্যাণভাতা ও শীতকালীন সহায়তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে তিনি নেতৃত্বের ভুল স্বীকারের আহ্বান জানান।

নির্বাচনে জয় সত্ত্বেও পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভোটের হার কম হওয়ায় (মাত্র ১৬.৬ শতাংশ) দলীয় সদস্যদের মধ্যে উদাসীনতার ইঙ্গিত মেলে।

অ্যাঞ্জেলা রেইনারের পদত্যাগের পর উপনেতার দায়িত্ব এখন মূলত পার্টির সাংগঠনিক ভূমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে পাওয়েল লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতেও কাজ করবেন এবং তাকে আসন্ন নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম ব্যক্তি বলা হচ্ছে।

আগামী মাসে বাজেট ঘোষণা ও পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের স্থানীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পাওয়েলের নেতৃত্ব লেবারের জন্য একটি বড় পরীক্ষাও বটে।

এমআরএম/এমএস

Read Entire Article