ব্ল্যাক গোল্ড বা এস্প্রেসো কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে
এস্প্রেসোর এক শট অনেকের জন্য সকালের `পাওয়ার অন বাটন’। কিন্তু এই ছোট কালো পানীয়টি কি ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে? গবেষণা আর পুষ্টিবিদদের মত অনুযায়ী — হ্যাঁ, পারে। তবে অবশ্যই ঠিক উপায়ে, ঠিক পরিমাণে। আসুন দেখি এই ব্ল্যাক গোল্ড শরীরে কীভাবে কাজ করে। ১. ক্যাফেইন বাড়ায় মেটাবলিজম এস্প্রেসোতে থাকা ক্যাফেইন মেটাবলিক রেট — মানে শরীরের ক্যালরি পোড়ানোর গতি স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। এই স্টিমুলেশনকে বলে থার্মোজেনেসিস, যেখানে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এনার্জি ব্যবহার করে। ফলে একই কাজ করেও শরীর বেশি ক্যালরি খরচ করে। ২. ফ্যাট অক্সিডেশন বাড়ায় ক্যাফেইন শরীরের চর্বিযুক্ত কোষগুলো থেকে ফ্যাটি অ্যাসিড বের করে এনে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। সহজভাবে বললে — শরীর জমে থাকা চর্বি ভাঙতে বেশি উদ্দীপিত হয়। এর ফলেই ব্যায়াম করার সময় স্ট্যামিনা বাড়ে, ক্যালরি বার্নও বেড়ে যায়। ৩. খাবারের চাহিদা ও রুচি কমায় অনেকের ক্ষেত্রে এস্প্রেসো ক্ষুধা কমানোর কাজ করে। ক্যাফেইন সাময়িকভাবে ক্ষুধার অনুভূতি কমিয়ে দেয়, ফলে খাবারের পরিমাণও কমে যায়। ডায়েটিং করার সময় এই সুবিধা অনেককেই
এস্প্রেসোর এক শট অনেকের জন্য সকালের `পাওয়ার অন বাটন’। কিন্তু এই ছোট কালো পানীয়টি কি ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে? গবেষণা আর পুষ্টিবিদদের মত অনুযায়ী — হ্যাঁ, পারে।
তবে অবশ্যই ঠিক উপায়ে, ঠিক পরিমাণে। আসুন দেখি এই ব্ল্যাক গোল্ড শরীরে কীভাবে কাজ করে।
১. ক্যাফেইন বাড়ায় মেটাবলিজম
এস্প্রেসোতে থাকা ক্যাফেইন মেটাবলিক রেট — মানে শরীরের ক্যালরি পোড়ানোর গতি স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ১১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। এই স্টিমুলেশনকে বলে থার্মোজেনেসিস, যেখানে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এনার্জি ব্যবহার করে। ফলে একই কাজ করেও শরীর বেশি ক্যালরি খরচ করে।
২. ফ্যাট অক্সিডেশন বাড়ায়
ক্যাফেইন শরীরের চর্বিযুক্ত কোষগুলো থেকে ফ্যাটি অ্যাসিড বের করে এনে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। সহজভাবে বললে — শরীর জমে থাকা চর্বি ভাঙতে বেশি উদ্দীপিত হয়। এর ফলেই ব্যায়াম করার সময় স্ট্যামিনা বাড়ে, ক্যালরি বার্নও বেড়ে যায়।
৩. খাবারের চাহিদা ও রুচি কমায়
অনেকের ক্ষেত্রে এস্প্রেসো ক্ষুধা কমানোর কাজ করে। ক্যাফেইন সাময়িকভাবে ক্ষুধার অনুভূতি কমিয়ে দেয়, ফলে খাবারের পরিমাণও কমে যায়। ডায়েটিং করার সময় এই সুবিধা অনেককেই সাহায্য করে।
৪. লো-ক্যালরি পানীয়, যদি কফি ব্ল্যাক হয়
এস্প্রেসোর সবচেয়ে বড় সুবিধা—এতে চিনি নেই, দুধ নেই, ক্যালরিও নেই বললেই চলে। এক শট এস্প্রেসোতে থাকে মাত্র ২–৩ ক্যালরি। তাই এটি ওজন কমানোর ডায়েটে সহজেই মানিয়ে যায়। তবে এখানে একটি সতর্কতা আছে।
চিনি, সিরাপ, হুইপড ক্রিম, ফ্লেভার – এগুলো যোগ করলে এস্প্রেসো মুহূর্তেই ২০০–৩০০ ক্যালরির ডেজার্টে পরিণত হতে পারে।
৫. ব্যায়ামের আগে পারফরম্যান্স বুস্টার
শরীরচর্চার ৩০ মিনিট আগে এক শট এস্প্রেসো শক্তি বাড়ায়, ফোকাস বাড়ায়, ক্লান্তি কমায়। ফলে ব্যায়ামের ফলাফলও ভালো হয়। যাদের সকালে ব্যায়াম করতে আলসেমি লাগে, তাদের জন্য এটি কার্যকর প্রি-ওয়ার্কআউট ড্রিঙ্ক।
তবে সতর্কতা জরুরি
>> অতিরিক্ত ক্যাফেইন ঘুম নষ্ট করতে পারে
>> উদ্বেগ বাড়াতে পারে
>> হৃৎস্পন্দন দ্রুত হতে পারে
>> পেটের অস্বস্তিও হতে পারে
>> সাধারণভাবে দিনে ২০০–৩০০ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকা (প্রায় ২–৩ শট এস্প্রেসো) বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ।
এস্প্রেসো কোনো ম্যাজিক ড্রিঙ্ক নয়, কিন্তু ঠিকভাবে ব্যবহার করলে এটি ওজন কমানোর পথে আপনার সহযোগী হতে পারে। মেটাবলিজম বাড়ানো, ফ্যাট বার্ন ত্বরান্বিত করা, ক্ষুধা কমানো — সব মিলিয়ে ব্ল্যাক গোল্ড সত্যিই শরীরের পক্ষে কাজ করে।
সূত্র: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল, ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ওবেসিটি, আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন, ইউরোপিয়ান জার্নাল অব নিউট্রিশন, মায়ো ক্লিনিক
এএমপি/জেআইএম
What's Your Reaction?