বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য ও ধারাবাহিকতা বেড়েছে ব্যাটারদের: আশরাফুল
সিলেটে প্রথম টেস্টে একবারই ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। ওই ইনিংসে ছিল জোড়া সেঞ্চুরি। ১৭১ রানের বড়সড় ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। আর ১০০ রানে নটআউট ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সঙ্গে সাদমান ইসলাম (৮০), মুমিনুল হক (৮২) একজোড়া ‘বিগ ফিফটির’ সাথে লিটন দাসের ৬০ রানের ইনিংসও ছিল। ঢাকার মিরপুরের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও একই অবস্থা। এ টেস্টের প্রথম ইনিংসেও দু’জন (মুশফিকুর রহিম ১০৫, লিটন দাস ১২৮) সেঞ্চুরি করেছেন। সঙ্গে ছিল মুমিনুল হকের ফিফটি (৬৩)। দ্বিতীয় ইনিংসে অনেকগুলো ফিফটি হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ তিন অংকে পা রাখতে পারেননি। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় (৬৩), সাদমান ইসলাম (৭৮) ও মুমিনুল হক (৮৭) শতরানের সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি। আর প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক ৫৩ রানে নট আউট থেকে যান। দুই টেস্টের তিন ইনিংসে ৪টি সেঞ্চুরি কম কথা নয়। সাথে ৮টি হাফ সেঞ্চুরি। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড হলেও পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরলে এক সিরিজে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের সিরিজ। এর আগে ২০১০ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের সাথে ২ টেস্টে ৪ ইনিংসে সর্বাধিক ১০টি পঞ্চাশ রানের ইনিংস খেলেছিলেন টাইগার
সিলেটে প্রথম টেস্টে একবারই ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। ওই ইনিংসে ছিল জোড়া সেঞ্চুরি। ১৭১ রানের বড়সড় ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। আর ১০০ রানে নটআউট ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সঙ্গে সাদমান ইসলাম (৮০), মুমিনুল হক (৮২) একজোড়া ‘বিগ ফিফটির’ সাথে লিটন দাসের ৬০ রানের ইনিংসও ছিল।
ঢাকার মিরপুরের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও একই অবস্থা। এ টেস্টের প্রথম ইনিংসেও দু’জন (মুশফিকুর রহিম ১০৫, লিটন দাস ১২৮) সেঞ্চুরি করেছেন। সঙ্গে ছিল মুমিনুল হকের ফিফটি (৬৩)। দ্বিতীয় ইনিংসে অনেকগুলো ফিফটি হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ তিন অংকে পা রাখতে পারেননি। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় (৬৩), সাদমান ইসলাম (৭৮) ও মুমিনুল হক (৮৭) শতরানের সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেননি।
আর প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিক ৫৩ রানে নট আউট থেকে যান। দুই টেস্টের তিন ইনিংসে ৪টি সেঞ্চুরি কম কথা নয়। সাথে ৮টি হাফ সেঞ্চুরি। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড হলেও পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরলে এক সিরিজে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের সিরিজ। এর আগে ২০১০ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের সাথে ২ টেস্টে ৪ ইনিংসে সর্বাধিক ১০টি পঞ্চাশ রানের ইনিংস খেলেছিলেন টাইগার ব্যাটাররা। এবার আইরিশদের বিপক্ষে পঞ্চাশের বেশি ইনিংস হাকানোর নতুন রেকর্ড হলো। তাও এক ইনিংস কম খেলে।
সেদিক থেকে বলতে হয়, প্রতিপক্ষ যত দূর্বল, অনভিজ্ঞই হোক না কেন, দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এবারই সবচেয়ে বেশি ফিফটি ও তার বেশি রানের ইনিংস উপহার দিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
কিন্তু তারপরও একটা অপ্রাপ্তি, আক্ষেপ ও অনুশোচনা কিন্তু থেকেই গেল। তা হলো, ২ টেস্টে এতগুলো ফিফটি হলেও সেঞ্চুরি হয়েছে তুলনামূলক কম। আর তারচেয়ে বড় কথা, মাহমুদুল হাসান জয়ের প্রথম টেস্টে ১৭১ রানের ইনিংসটি ছাড়া সামগ্রিকভাবে বড় ইনিংস হয়েছে খুব কম।
এই যে পঞ্চাশ পেরিয়ে ৬০, ৭০ ও ৮০’র ঘরে ফিরে আসা, সেটা কিন্তু রীতিমত শঙ্কার, ব্যাটারদের অক্ষমতা। মুমিনুল হক একাই তিন ইনিংস ব্যাট করে দুবার আশির ঘরে আর একবার ষাটের ঘরে আউট হয়েছেন।
এই যে শতরানের কাছে গিয়েও তা ছুঁতে না পারা এবং ফিফটিগুলোকে সেঞ্চুরিতে রুপান্তর করতে না পারা, তার কারণ কি? এটা কি সামর্থ্যে ঘাটতি? নাকি ধৈর্য্য, মনোযোগ-মনোসংযোগে কমতি?
এ প্রশ্ন অনেকের। এ সিরিজে প্রথমবার টিম বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হওয়া মোহাম্মদ আশরাফুলকে এ প্রশ্ন করা হলে তিনিও কোন টেকনিক্যাল কারণ ব্যাখ্যা না করে ইতিহাস ও পরিসংখ্যানকে মানদণ্ড ধরে কথা বললেন।
এমনিতে আশরাফুলের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ তার সমসাময়ীকদের মধ্যে সেরা, তথ্য, উপাত্ত ও পরিসংখ্যান তার মুখস্ত। পর্যালোচনায়ও আশরাফুল বেশ দক্ষ; কিন্তু ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন মিডিয়ায় কথা বলতে এসে আশরাফুল সেই বিষয়ে সরাসরি কোন ব্যাখা না দিয়ে পরিসংখ্যানের আলোকে খানিক কৌশলে জবাব দিলেন।
বললেন, ‘ব্যাটারদের সেট হয়ে আউট হবার প্রবণতা কমেছে। বরং পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যাবে এই সিরিজে তিন ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটাররা আগের যে কোন সিরিজের চেয়ে প্রতি ইনিংসে ভাল খেলেছে। সর্বাধিক (১২টি) পঞ্চাশের বেশি ইনিংস উপহার দিয়েছে। যা আগে কখনোই হয়নি।’
প্রশ্ন ছিল, ‘আশরাফুল আপনি প্রথমবারের মতো দুটি টেস্টে ন্যাশনাল টিমকে কাছ থেকে দেখলেন। দুইটা টেস্টেও দেখলেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের হাফ সেঞ্চুরির পরপর আউট হয়ে যাওয়া অনেক অনেক পুরনো রোগ। এটাকে সেট হয়ে ফিফটি পার হয়ে শতরানের কাছে গিয়ে আউট হয়ে আসার কারণ ও যথাযথ সমাধান কি?’
আশরাফুল উত্তরে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, ব্যাটারদের সেট হয়ে আউট হবার প্রবণতা কমেছে। এখন বিশেষ করে এ সিরিজে পঞ্চাশ পেরিয়ে ৭০ ও ৮০’র ঘরে আউট গুলোর কারণ হিসেবে তার মনে হয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাল ডেলিভারিতে আউট হয়েছেন ব্যাটাররা।
মুমিনুলের দুই টেস্টে আশির ঘরে (৮২, ৮৭) আউটের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘প্রথম টেস্টে যদি আমরা দেখি যে মুমিনুল ৮০ রানে যে আউটটা হয়েছে, সেটা চমৎকার একটা ডেলিভারি ছিল। এইখানেও যদি মুমিনুলের ফার্স্ট ইনিংসে আউটটা আমরা দেখি যে কিছু করার ছিল না কারণ সে সুইপ খেলেছিলেন, ইনসাইড এজ লেগে টোয়ে লেগে আউট হয়েছেন। তো এই ধরনের আউট হলে আসলে কিছু বলার থাকে না। জয় যেটা ঢাকা টেস্টের সেকেন্ড ইনিংসে আউট হয়েছেন হঠাৎ নিচু হয়ে যাওয়া বলে।’
এআরবি/আইএইচএস
What's Your Reaction?