লা লিগায় চলতি মৌসুমেও শিরোপার দিকে দুরন্ত গতিতে ছুটছিল রিয়াল মাদ্রিদ। পয়েন্ট ব্যবধানও অনেকট বাড়িয়ে নিয়েছিল তারা। তবে গতকাল শনিবার রাতে হোঁচট খেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। অপ্রত্যাশিত ১-০ ব্যবধানে হেরে গেছে টেবিলের নিচের দিকে থাকা এস্পানলের কাছে।
আরসিডিএ স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে রিয়াল। তবে ভাগ্য নিজেদের অনুকূলে আনতে ব্যর্থ হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
একই রাতে মায়োর্কাকে ২-০ গোলে হারিয়ে রিয়ালের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ২২ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৪৯। সমান ম্যাচে অ্যাথলেটিকোর পয়েন্ট ৪৮। তিনে থাকা বার্সেলোনার মালিকানায় আছে ৪২ পয়েন্ট।
যদিও শনিবার এস্পানলের জাল খুঁজে বের করেছিল রিয়াল। ২১ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর থেকে দুর্দান্ত শটে বল জালে ফেলেছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে ব্রাজিলিয়ান তারকার শট নেওয়ার আগেই এস্পানলের পল লোজানোকে ফাউল করেন কিলিয়ান এমবাপে। যে কারণে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় রিয়াল। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন লুকাস ভাসকেস, রদ্রিগো ও জুড বেলিংহ্যাম। তাদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এস্পানলের গোলরক্ষক জোন গার্সিয়া।
এক পর্যায়ে মারাত্মক ফাউলের শিকার হন এমবাপে। তাৎক্ষণিক হলুদ কার্ড না দেখানোয় রেফারির ওপর বিরক্ত হন রিয়ালের ফুটবলাররা। রিভিউ নেন তারা। পরে ভিএআর দেখে এস্পানলের রোমেরোকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
ম্যাচের পর ফাউল নিয়ে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বলেন, ‘এই ফাউল ব্যাখ্যাতীত; রেফারি, ভিএআর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খেলোয়াড়ের যত্ন ও তাকে রক্ষা করা। এটি একটি খুব খারাপ ট্যাকল ছিল, যাতে ইনজুুরির ঝুঁকি ছিল। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে তা ঘটেনি।’
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে রিয়ালের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন এস্পানলের কার্লোস রোমেরো। গোলবারের কাছ থেকে শট নিয়ে ম্যাচের ভাগ্যনির্ধারণী গোলটি করেন এস্পানল তারকা। এতে ১-০ তে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষ বাঁশির আগে এই গোল শোধ দিতে পারেনি রিয়াল।
এমএইচ/এএসএম